বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নে গুরুত্ব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর | Daily Chandni Bazar বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নে গুরুত্ব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০১৯ ১০:৪৮
বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নে গুরুত্ব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নে গুরুত্ব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে বৈঠকে রিভা গাঙ্গুলি দাস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে ত্রিপুরা। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাসের সঙ্গে সোমবার বৈঠকের পর এ কথা জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার সঙ্গে বাংলাদেশের আখাউড়ার রেলপথ নির্মাণের প্রক্রিয়া সরেজমিনে দেখতে এসেছিলেন রিভা। নিশ্চিন্তপুর সীমান্তে রেলের নির্মাণকাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। কথা বলেন রেলের পাশাপাশি অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে। পরে আগরতলার মহাকরণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক খুবই ভালো। তবে এও ভালো করার সুযোগ রয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিভা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে ভারতের আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার ও পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। 
বৈঠকের পর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেন। তাঁর মতে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে মালামাল আনতে পারলে ত্রিপুরা হয়ে উঠবে উত্তর পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার। 
বিপ্লব এদিন, রেলপথের পাশাপাশি দ্রুত ফেনীর ওপর মৈত্রী সেতু নির্মাণকাজ শেষ করার ওপরও গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, এ দুটি কাজ শেষ হলে উভয় দেশই উপকৃত হবে। 
প্রসঙ্গত, আগরতলা থেকে আখাউড়া ১৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে ৫ কিলোমিটার ভারতে। 
তেমনি দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম আর চট্টগ্রামের রামগড়ের মাঝে ফেনী নদীর ওপর গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক সেতু। 
সেতুর কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৭২ কিলোমিটার। আগরতলা থেকে সেতুর দূরত্ব ১০৪ কিলোমিটার। তিন দিক থেকে বাংলাদেশ বেষ্টিত ত্রিপুরা তাই চাইছে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে সমুদ্র পথে ভারতের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে পণ্য আনা নেওয়া করতে।