শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল করিম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত | Daily Chandni Bazar শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল করিম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০১৯ ০৬:৫১
শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল করিম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
অনলাইন ডেস্ক

শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল করিম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

সাইফুল করিম।

বহুল আলোচিত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল করিম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর নাফ নদীর স্থলবন্দর সীমানা প্রাচীর এলাকায় ইয়াবা উদ্ধার অভিযানের সময় সাইফুল বন্দুকযুদ্ধের শিকার হন। জানা গেছে, পুলিশ মিয়ানমার থেকে আনা ইয়াবা উদ্ধারে গেলে সাইফুলের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলাকারীরা পিছু হটে। পরে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস।

প্রদীপ কুমার দাস জানান, সাইফুলকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখান থেকে কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাইফুল নিহত হন। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন সাইফুলের নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া টেকনাফ থানা-পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ পিস ইয়াবা, ৪২ রাউন্ড শটগানের তাজা গুলি ও ৩৩ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত বছরের ৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের হালিশহরে এক চালানে ১৩ লাখ ইয়াবা বড়ি আটক হওয়ার পর কক্সবাজার ও মিয়ানমারের মূল চোরাকারবারিদের নাম বেরিয়ে আসে। তাঁদের একজন সাইফুল করিম। ১৩ লাখ ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত দুই আসামি রশিদ ওরফে মুন্না ও আশরাফ আলী চট্টগ্রামের আদালতে সাইফুল করিম এবং মিয়ানমারের চোরাকারবারি আবদুর রহিমকে জড়িয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাতে ১৮ কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসে। হালিশহরের অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ। তিনি এখন চট্টগ্রামে কাউন্টার টেররিজমের দায়িত্বে আছেন।

উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সাইফুল করিম ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম ইয়াবার চালান এনেছিলেন। দেশের লাখ তরুণ-তরুণীকে মাদকাসক্ত করার পেছনে তাঁর ভূমিকা রয়েছে। ১৩ লাখ ইয়াবা বড়ি একসঙ্গে আটক হওয়ার পর তাঁর সম্পর্কে আমরা এসব তথ্য পাই।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় এক নম্বর, কক্সবাজারের গডফাদারের তালিকায় দুই নম্বরে ছিল সাইফুলের নাম।