বগুড়ায় একাধিক মাদক মামলার আসামী রঞ্জনা কে আবারো ফেন্সিডিল সহ গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের নূরানী মোড় এলাকা থেকে হাতেনাতে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই সোহেল রানা জানান, গ্রেফতারকৃত রঞ্জনা শহরের নিশিন্দারা মন্ডলপাড়ার মজিদ মিয়ার স্ত্রী এবং তার বিরুদ্ধে আগেরও ৭টি মাদক মামলা রয়েছে।
বুধবার সন্ধায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নূরানী মোড়ের নাঈম স্টোরের সামনে থেকে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। এসময় তার হাতে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে ১০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। বগুড়া সদর থানা সূত্রে জানা যায়, আসামী রঞ্জনা সর্বপ্রথম তার স্বামী মজিদসহ ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার হয় হয় ২০১৩ সালে। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময় যথাক্রমে ২০১৫ সালে এপিবিএন এর কাছে ১৬৩ পিস ইয়াবা, একই সালে দিনাজপুরের বিরামপুর থানার ৪০ বোতল ফেন্সিডিল, ২০১৬ সালে র্যাবের কাছে ফেন্সিডিলসহ, ২০১৭ সালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় আবারো ফেন্সিডিলসহ, ২০১৮ সালে বগুড়া সদর থানায় ৯৭ পিস ইয়াবা এবং সর্বশেষ সদর থানাতে আবারো তার নামে মাদক মামলা ঋজু হয় যে মামলায় রঞ্জনা পলাতক ছিল।
সে সকল মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। সর্বশেষ উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির টিম তাকে আবারো বুধবার সন্ধ্যায় মাদকসহ গ্রেফতার করেছে এবং ইতিমধ্যে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে দক্ষতার সাথে দায়িত্বপালনকারী পুলিশ কর্মকর্তা উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমবার হোসেন জানান, রঞ্জনার মতো মাদক ব্যবসায়ীরা যেকোন সময় যে কারো সন্তানের উপর তাদের মাদকের কড়াল থাবা বসাতে পারে। আগের ৭ টি মামলা থাকা সর্ত্ত্বেও আসামী রঞ্জনা সামাজিক ব্যাধি এই মাদকের সাথে সর্ম্পৃক্ত ছিল এবং আছে। তাই তিনি আশা করছেন আসামী রঞ্জনাার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে এবং কোনভাবেই যেন যুবসমাজকে ধ্বংসকারী এই মাদকব্যবসায়ীরা সহজেই ছাড় না পেয়ে যায় মর্মে দায়িত্বপালনকারী সকলকে অনুরোধ জানান।