বগুড়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পৃথক পৃথক মাদকবিরোধী অভিযানে রবিবার রাতে শহরের থানামোড় এলাকা এবং বনানী বাজার এলাকা থেকে একাধিক মামলার ৪ জন চিহ্নিত আসামীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে ডিবি পুলিশের ৩ টি আলাদা টিম ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা শাখার এসআই নাছিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এসআই ফয়সাল হোসেন, এএসআই মামুনুর রশিদ, এএসআই কামাল হোসেন সহ সঙ্গীয় ফোর্স শহরের থানা মোড় এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান করার সময় বিভিন্ন বিচারাধীন মামলার আসামী শাজাহানপুরের ফুলতলা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে তালহা ইসলাম (১৯) এবং উপশহরের শাহাদত হোসেনের ছেলে রুহান রাফায়েত (২১) কে সন্দেহজনকভাবে তল্লাশি করে তাদের হেফাজতে থাকা ৩০০ পিস ইয়াবাসহ তাদের গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে একই এলাকায় নজরুল ইসলাম সড়কে ডিবির এসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় আরেকটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোট ১০০ পিস ইয়াবাসহ একাধিক বিচারাধীন মামলার ২ জন আসামী হরিপুরের চাঁদমুহার জহুরুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে রবিন (৩৬) এবং শহরের ঘোড়াপট্টি সূত্রাপুর এলাকার মৃত: আব্দুর গফুরের ছেলে মনির উদ্দিন ওরফে লুসেন্ট (৩৯) সহ সুলতানগঞ্জপাড়ার মৃত: মমতাজুর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে সুমন (৪৩) কে গ্রেফতার করে।
একই দিনে নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ডিবির এসআই ফজলে এলাহীর নেতৃত্বে অন্য একটি দল বনানী বাজার এলাকা থেকে ১০০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে শাজাহানপুরের গন্ডগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকার মৃত: আব্দুল হামিদের ছেলে ইমরান শেখ ওরফে শুভ (২৮) নামে আরেক যুবককে। বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি আছলাম আলী পিপিএম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা ঋজু করা হয়েছে।
বগুড়া শতভাগ মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত জেলা গোয়ন্দা পুলিশের প্রতিটি ইউনিটের নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও মিডিয়া সেলের প্রধান সনাতন চক্রবর্তী জানান, জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে ইতিমধ্যে বগুড়ার চিহ্নিত মাদকের সবগুলো স্পট গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মাদকের সাথে যুক্ত বড় বড় রাঘব বোয়ালরাও জেলা পুলিশের কাছ থেকে বিন্দু মাত্র ছাড় পায়নি এবং এই জগতের সাথে যদি কেউ নতুন করে যুক্ত হয় এবং কৌশলে পুরোনো ব্যবসা কে কেউ যদি আবার জাগানোর চেষ্টা করে তারা কেউ ভবিষ্যতেও ছাড় পাবেনা বলেও হুশিয়ারি দেন জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।