কি চলছে ডাক্তার বিপুলের অরবিন্দু আই কেয়ারে? | Daily Chandni Bazar কি চলছে ডাক্তার বিপুলের অরবিন্দু আই কেয়ারে? | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৮ জুন, ২০১৯ ২৩:০৯
কি চলছে ডাক্তার বিপুলের অরবিন্দু আই কেয়ারে?
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বেরিয়ে এলো নানা তথ্য
ষ্টাফ রিপোর্টার

কি চলছে ডাক্তার বিপুলের অরবিন্দু আই কেয়ারে?

গত সোমবার শহরের চেলোপাড়ায় অরবিন্দু আই কেয়ারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানকালে আটককৃতরা ও পাশে অবৈধভাবে আনা ভারতীয় কমদামের লেন্স। ছবি: সংগৃহীত

রমরমা ব্যবসার আড়ালে অরবিন্দু আই কেয়ারে চলছে নানা ধরনের অপকর্ম। এক কথায় বলা চলে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে কামিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ভারত থেকে কম দামে চোখের লেন্স এনে কয়েক গুণ বেশী দামে বিক্রি করছে অরবিন্দু আই কেয়ারের ডাক্তার বিপুল চন্দ্র রায়। চোখের অপারেশন নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই ডাক্তারের বিরুদ্ধে। গত সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযানের এক পর্যায়ে অরবিন্দু আই কেয়ার সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়।

সেখান থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ বিপুল পরিমাণ ওষুধ ও অঅনুমোদিতভাবে ভারত থেকে আনা কম দামী লেন্স উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। জানা গেছে, বগুড়াসহ আশে-পাশের জেলার মানুষ চোখের চিকিৎসক হিসেবে অন্ধ বিশ্বাসে বিপুল চন্দ্র রায়ের চেম্বারে ভিড় করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

আর সেই সুযোগ নিয়ে তিনি চোখের অপারেশন করে ভারত থেকে আনা ২ থেকে ৩ হাজার টাকার চোখের লেন্স ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে আসছেন। তিনি রোগীদেরকে বলেন, যদি উন্নত বিশ্বের লেন্স লাগান তাহলে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। আর যদি ভারতীয় লেন্স লাগান তবে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাগবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাঝে মাঝেই ডাক্তার বিপুল চন্দ্র ভারতে যান এবং সেখান থেকে কম দামী লেন্স এনে রোগীদের কাছে উচ্চ দামে গছিয়ে দেন।

কথাবার্তায় পরিপাটি এই ডাক্তারকে বিশ্বাস করে বগুড়া শহরের অনেক চোখের রোগী তার কাছে অপারেশন করার পর চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলে ভারতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। একটি বিশেষ সংবাদে জানা গেছে, ভ্রাম্যমান আদালতকে তিনি তার চোখ অপারেশন করার লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। তবে তিনি পরে তার অপারেশন করার লাইসেন্স দেখানোর অঙ্গিকার করেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অঅনুমোদিত নিম্নমানের বিপুল পরিমাণ লেন্স পাওয়ায়  তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ৪ জন কর্মচারীকে আটক করে আনা হলেও বিশেষ তদবীরে তারা ছাড়া পেয়ে যায়।

উল্লেখ্য, বগুড়া শহরে রমরমা চোখের অপারেশন ও চোখ দেখার ব্যাপারে বিপুল চন্দ্র রায় সবাইকে টপকিয়ে যে চমক সৃষ্টি করেছেন তার পিছনের ইতিহাস হলো অপারেশনের নামে নিম্নমানের লেন্স বিক্রি। এছাড়াও অরবিন্দু আই কেয়ারের বিরুদ্ধে রয়েছে আরও নানা ধরনের অভিযোগ। বিশেষ করে চোখ দেখার সিরিয়াল নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের অভিযোগ। ভোর ৬টার মধ্যে সিরিয়াল দিতে না পারলে রোগীদেরকে পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি।

এব্যাপারে সিরিয়ালের জন্য আবেদন করলে বিপুল ডাক্তারের কর্মচারীরা এত খারাপ ব্যবহার করেন যাতে বাধ্য হয়ে রোগীরা টাকা দিয়ে সিরিয়াল নাম্বার কিনতে বাধ্য হন। এছাড়াও রয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধ বাদেও বিভিন্ন কোম্পানীর ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লেখা হয় যা রোগীর কোনই কাজে আসে না বলে রোগীদের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে চোখের ডাক্তার বিপুল চন্দ্র রায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।