বগুড়ায় ডাক্তার বিপুলের চেম্বার থেকে উদ্ধার করা লেন্সগুলো আমদানীকৃত নাকি চোরাপথে আনা? | Daily Chandni Bazar বগুড়ায় ডাক্তার বিপুলের চেম্বার থেকে উদ্ধার করা লেন্সগুলো আমদানীকৃত নাকি চোরাপথে আনা? | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০১৯ ২৩:৪১
বগুড়ায় ডাক্তার বিপুলের চেম্বার থেকে উদ্ধার করা লেন্সগুলো আমদানীকৃত নাকি চোরাপথে আনা?
ষ্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ায় ডাক্তার বিপুলের চেম্বার থেকে উদ্ধার করা লেন্সগুলো আমদানীকৃত নাকি চোরাপথে আনা?

ডাঃ বিপুল চন্দ্র রায়ের চেলোপাড়া চেম্বার থেকে গত সোমবার ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ লেন্সের বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন উঠেছে। এগুলো আসলেই আমদানীকৃত নাকি চোরাপথে আনা?

দৈনিক চাঁদনী বাজারে প্রকাশিত “ভ্রাম্যামান আদালতের অভিযানে বেরিয়ে এলো নানা তথ্য- কি চলছে ডাক্তার বিপুলের অরবিন্দু আই কেয়ারে?” শীর্ষক সংবাদ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন উঠে এসেছে ভ্রাম্যমান আদালতের উদ্ধারকৃত এই লেন্সগুলো অনুুমোদিত নাকি বিনা অনুমোদিত? এ প্রশ্নের জবাব এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে জানা যায়নি। আজ বুধবার প্রকাশিত সংবাদের উপরে যে চারজনকে আটক দেখানো হয়েছে এরা কিভাবে এবং কেমন করে মুক্তি পেল সেটাও বিভিন্ন মহলের কাছে বিস্ময় হয়ে দেখা দিয়েছে।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ডাক্তার বিপুল চন্দ্র রায় ঘন ঘন ভারতে ভ্রমণ করেন। যদি তিনি এই লেন্সগুলো ভারত থেকে এনে থাকেন তবে তাকে অবশ্যই তার কাগজ দেখাতে হবে। তার আমদানী-রপ্তানী লাইসেন্স আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যদি এই বিপুল পরিমাণ লেন্স ভারত থেকে আনা হয়ে থাকে তবে সেটাও অপরাধ বলে গণ্য হবে। যদি নিম্ন মানের লেন্স হয় তবে এটি যে কারও চোখে স্থাপন করার পর তার চোখে সমস্যা হবে, এমনটাই বললেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বগুড়ার একজন চক্ষু চিকিৎসক।

তিনি বলেন, ১১ থেকে ১৫ হাজারের মধ্যে অনেক ভাল লেন্স পাওয়া যায়। কিন্তু ভারতীয় কম দামী লেন্স যদি ১১ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়া হয় তবে তার রোগীর প্রতি অবিচার করার মত। দৈনিক চাঁদনী বাজারের অনলাইনে সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেই অভিযোগ করেছেন তারা বিপুল চন্দ্রের ওখানে চোখ অপারেশন করার পর অল্প সময়ের মধ্যেই আবারও চোখের সমস্যায় পড়েছেন। উদ্ধারকৃত লেন্স নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এটির সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

একজন মানুষের মূল্যবান অঙ্গ তার চোখ, আর সেই চোখ নিয়ে যদি কেউ ছেলে খেলা খেলে তবে তা জঘণ্যতম অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে, এমনটাই মনে করে সাধারণ মানুষ। এদিকে এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত না হলে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অনেকেই এভাবে ভারত থেকে কমদামী নিম্ন মানের লেন্স চোরাপথে আনতে আগ্রহী হবে।