বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার জংশন শহর থেকে মাদকের কেনাবেচা ও সেবন বন্ধে পুলিশের ডিআইজি’র নিকট সহয়তা চেয়ে আবেদন করেছেন এলাকাবাসী। সান্তাহার শহরের প্রায় ৫০ জন নাগরিক সম্প্রতি পুলিশের রাজশাহী অঞ্চলের ডিআইজি বরাবর লিখিত আবেদন করেন। ওই আবেদনপত্রে মাদকের বিস্তারের জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়।
আবেদনপত্রে বলা হয়, বর্তমানে সান্তাহার জংশন শহরের বিভিন্ন মহল্লায় ব্যাপক হারে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। মাদকের কবলে পড়ে ধংস হয়ে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। সান্তাহার রেলওয়ে কেন্দ্রীক শহর হওয়ার কারণে ট্রেন পথে মাদক এসে সান্তাহারের বিভিন্ন মহল্লায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এসব মাদক বিক্রেতা ও সেবীরা স্থানীয় টাউন পুলিশ ফাঁড়ি এবং এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির সহয়তায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
শহরের রথবাড়ি এলাকার কানা বাবু, চা বাগান মহল্লার নয়ন, মুনির, কাজলী, ঝান্ডি বাবু, ইয়ার্ড কলোনী এলাকার শিউলি, সোহেল, চা বাগান মহল্লার শুটকি, শিবলু, ষ্টেশন কলোনীর আতাউর’সহ প্রায় অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ি মাদক কেনা বেচার কাজে জড়িত রয়েছে। এসব মাদক ব্যবসায়িদের নিকট থেকে ছোট আকারের ব্যবসায়িরা মাদক কিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও মহল্লায় নিয়ে গিয়ে কেনাবেচা করে থাকে। এছাড়া কিছু মাদক ব্যবসায়ি সান্তাহার শহর থেকে পাইকারি মাদক কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যায়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনিসুর রহমান,উপ-পরিদর্শক ওয়াদুদ হোসেন ও সিপাহী তাপস কুমার এ সকল মাদক ব্যবসায়িদের সাথে আঁতাত করে মোটা অংকের টাকা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । শহরের হার্ভে স্কুলের দক্ষিণ পাশে বটতলি, মিনি বাসস্টান্ড,চাবাগান,রথবাড়ি, পাথরকুটা চার মাথার মোড়’সহ প্রায় ২৫টি এলাকায় প্রতিদিন মাদকের কেনাবেচা চলে । মাদক ব্যবসায়ি আশিক, নাজিম, এখলাস সার্বক্ষনিক পুলিশের সাথে অবস্থান করেন।
সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সান্তাহার শহরে মাদকের ভয়াবহতা সকল সময়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে । মাদকের পাশাপাশি জুয়া ও চুরি’তে এলাকা ছেয়ে গেছে। বিভিন্ন মহল্লায় ফেন্সিডিল, হেরোইন,ইয়াবা’র পাশাপাশি অবাধে বিক্রি হচ্ছে বাংলা মদ । ঈদে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মদ ছিটিয়ে উৎসব পালন করেছে মাদকসেবীরা । দ্রুত এ অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন । সান্তাহার পৌরসভার কাউন্সিলর জার্জিস আলম বলেন, মাদক বন্ধে জনগনের আন্দোলনের বিকল্প নেই । পুলিশ তৎপর হলে মাদকের ভয়াবহতা রোধ সম্ভব কিন্তু পুলিশ জনগনের সে আশা পুরুনে ব্যর্থ হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চেয়ে সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁিড়র পরিদর্শক আনিসুর রহমান মুঠোফোন যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায় । উপ-পরিদর্শক ওয়াদুদ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এ ধরনের আবেদন একটি মহলের ষড়যন্ত্র । মাদক বন্ধে আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।