বগুড়ার ১২ পৌরসভায় তালা ঝুলছে সেবা বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগে সহস্র নাগরিক | Daily Chandni Bazar বগুড়ার ১২ পৌরসভায় তালা ঝুলছে সেবা বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগে সহস্র নাগরিক | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০১৯ ২০:১৯
বগুড়ার ১২ পৌরসভায় তালা ঝুলছে সেবা বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগে সহস্র নাগরিক
এইচ আলিম

বগুড়ার ১২ পৌরসভায় তালা ঝুলছে সেবা বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগে সহস্র নাগরিক

বগুড়ার পৌর নাগরিকরা সেবা পাচ্ছেন না। সেবা বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন সহস্র নাগরিক। বগুড়া পৌরসভা সহ জেলার ১২টি পৌরসভার কার্যক্রম গত তিনদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে পৌরসভার নাগরিকরা কোন সেবা পাচ্ছেন না। তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারি আন্দোলনে নেমেছে। পৌরসভাগুলোতে এখন তালা ঝুলছে। সেবা গ্রহীতারা এসে ফিরে যাচ্ছে। পৌরবাসিরা বলছেন, দিনের পর দিন আন্দোলনের নামে পৌরসভা বন্ধ করে রেখে পৌরসভার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।

সরকারী কোষাগার থেকে বেতনভাতা সহ অন্যান্য দাবীতে পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঢাকায় একটানা অবস্থান কর্মসূচীর কারনে বগুড়ার ১২টি পৌরসভায় তালা দেয়া হয়েছে। তারা দিয়ে দাঁড়োয়ান রয়েছে পৌরসভার গেটে দাঁড়িয়ে। পৌর কর্মকর্তারা ঢাকায় থাকার কারণে বগুড়া পৌরসভাগুলো এখন নিরাপদহীন হয়ে আছে। সেই সাথে ভুগতে হচ্ছে পৌর নাগরিকদের।

বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ্যড: একেএম মাহবুববর রহমান জানান, বগুড়া পৌরসভার রয়েছে ২১টি ওয়ার্ড। বগুড়া পৌরসভা প্রায় ৭০ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৬ লাখ। গত অর্থ বছরে বরাদ্ধ ছিল ৬৫ লাখ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্ধ ৭৭ লাখ। দেশের কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে আয়তনে এবং জনসংখ্যায় বড় বগুড়া পৌরসভা। ‘ক’ শ্রেণীর এই পৌরসভাটি কার্পেটিং রাস্তা আছে ২২৯ কিলোমিটার। এছাড়া কাঁচা সড়ক, সিসি, আরসিসি, সেলিংসহ অন্যান্য রাস্তা রয়েছে আরো প্রায় ৬ ’শ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে প্রায় ৯ ’শ কিলোমিটারের রাস্তা আছে। সব মিলিয়ে কর্মচারি ও কর্মকর্তা রেেছ ৯০০ জন। পৌরকর্মকর্তা ও কর্মচারিরা আন্দোলন করছে। এ কারণে পৌরসভায় কেউ আসেনি।

বগুড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পৌর কর্মচারি ও কর্মকর্তারা পৌরসভায় না থাকার কারণে কোন কাজই হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকায় ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। পৌর এলাকার ক্ষতি হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো সংস্কার করা হয়নি। ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। বৃষ্টির কারণে ড্রেনেজ পুরে গেছে। সড়কবাতিও সবখানে জ¦লেনি। পানি নামছে না। হাঁটু পানির মধ্যে দিয়ে পথচারিদের চলাচল করতে হয়েছে।

চাকুরী, জমির খাজনা, লাইসেন্স, টীকাদান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, সন্তানের জন্মসনদসহ বিভিন্ন সনদ এবং পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে বগুড়ার ১২টি পৌরসভার নাগরিকগণ। শুধুমাত্র পানি সরবরাহ করছে পৌরসভা। গত রোববার থেকে পৌর এলাকায় ঠিক করে সড়ক বাতিও জ¦লছে না। অনেকেই চাকুরীর আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের সাথে পৌরসভার নাগরিক এর সনদ দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন।

বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টির কারণে ড্রেনগুলো পুড়ে গেছে। যে কারণে বৃষ্টির নামতে পারছেনা বলে এলাকায় পানি জমে আছে। খুব ধীরে ধীরে পানি নামছে। একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন বগুড়া পৌর এলাকা মফিজপাগলার মোড়ের বাসিন্দারা।

বগুড়া পৌর সভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দাঁড়োয়ান জানান, তিনদিন ধরে কোন কর্মচারী পৌরসভায় আসেন না। সবাই ঢাকায় গেছেন বিভিন্ন দাবী আদায়ের জন্য। তিনি বলেন, কাজ করার মত কোন লোক নেই। দিনে কম করে হলেও ৩ থেকে ৪ ’শ লোক আসছে মৌর মেয়র ও কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তাদের খোঁজে। সবাইকে নানা কথা বলতে হচ্ছে।