ধুনট পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে ভোগান্তিতে পৌরবাসী | Daily Chandni Bazar ধুনট পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে ভোগান্তিতে পৌরবাসী | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০১৯ ১০:০৩
সরকারি কোষাগার থেকে বেতন ভাতার দাবি
ধুনট পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে ভোগান্তিতে পৌরবাসী
ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:

ধুনট পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে ভোগান্তিতে পৌরবাসী

সরকারি কোষাগার থেকে বেতন ভাতার দাবিতে সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার ধুনট পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দও আন্দোলনে নেমেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ধুনট পৌরসভায় তালা ঝুলিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ঢাকায় আন্দোলনে অবস্থায় করায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ধুনট পৌরবাসীকে।

জানাগেছে, ২০০১ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে বগুড়ার ধুনট পৌরসভা স্থাপিত হয়। প্রথমে ‘গ’ শ্রেণীর পৌরসভা স্থাপিত হলেও ২০১৫ সালে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নিত হয় ধুনট পৌরসভা। বর্তমানে ধুনট পৌরসভায় কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে ২২ জন। এছাড়া মেয়র সহ ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ রয়েছেন ১৩ জন। এদিকে পৌরসভার বার্ষিক রাজস্ব আয় প্রায় ৯৫ লাখ টাকা। কিন্তু পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতনই দিতে হয় প্রায় ৯১ লাখ টাকা।

এছাড়া পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের বেতন প্রায় ১৬ লাখ টাকা। তাছাড়া ঝাড়–দার ও সুইপার সহ আনুসাঙ্গিক খরচ আরো প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ধুনট পৌরসভার এই তথ্য অনুয়ায়ি বার্ষিক আয়ের থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ঘাটতি থাকে। একারনে মাসের পর মাস বেতনভাতা বন্ধ থাকে পৌর মেয়র সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তাই তারা দীর্ঘদিন যাবত সরকারের কাছে বেতন ভাতার দাবি জানিয়ে আসছেন।

গত এক সপ্তাহ যাবত ধুনট পৌরসভা বন্ধ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকায় অবস্থান করায় অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পয়ঃনিষ্কাশন, সড়ক আলোকিত করা, ওয়ারিশয়ান সনদ, নাগরিক সনদ, চারিত্রিক সনদ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ, প্রত্যয়নপত্র ও পরিবেশ ছাড়পত্র সনদ সহ সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে পৌরবাসী।      
ধুনট পৌরএলাকার বাসিন্দা এনামুল সরকার জানান, কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির কারনে ড্রেনগুলোতে ময়লা জমে রাস্তার পানি নিষ্কাশন বন্ধ হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পরিচ্ছন্ন কর্মীর অভাবে ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলায় দূর্গন্ধে পৌরসভার সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। তারপরও পথচারীদের নাক মুখ চেপে দুর্গন্ধের মধ্যদিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া কর্মচারীর অভাবে সন্ধ্যা হলে এখন শহরের রাস্তায় আলো থাকে না।

ফলে পৌর এলাকায় সন্ধ্যার পর ভূতুরে অবস্থা সৃষ্টি হয়।
ধুনট পৌরসভার সচিব শাহিনুর ইসলাম জানান, ধুনট পৌরসভার মেয়র সহ কাউন্সিলরবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গত ১১ মাসের বেতন ভাতা বকেয়া রয়েছে। ধুনট পৌরসভায় সরকারিভাবে যে উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ আসে তা দিয়ে পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়। কিন্তু পৌরসভার রাজস্ব খাতে যে আয় হয় তা দিয়েই সবার বেতন দিতে হয়। কিন্তু যে রাজস্ব আদায় হয় তা দিয়ে বেতন দেওয়া সম্ভব হয় না।

একারনে মাসের পর মাস বেতন ভাতা বন্ধ থাকে। বেতন ভাতা না পেয়ে অনেক পরিবারকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। তাই সরকারি কোষাগার হতে শতভাগ বেতন ভাতার দাবীতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় আমরাও ঢাকায় অবস্থান করছি। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ থেকে ঘরে ফিরবো না।