বগুড়ার সোনাতলায় বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫০ হাজার ভাতাভোগীদের অবশেষে দূর্ভোগের অবসান ঘটলো। তারা খুঁজে পেল সুন্দর একটি নীড়। সেখানে রয়েছে সুন্দর পরিবেশ, ভৌত অবকাঠামো, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, ফ্যান ও আলোকসজ্জা।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, সরকারী অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবি, শিক্ষক, মৃত সরকারী চাকুরীজীবিদের স্ত্রী, স্বামী পরিত্যাক্তা, বিধবা, বয়স্ক, নারী শ্রমিকদের ভাতা নিতে প্রতি মাস ওই উপজেলার সোনালী, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের সামনে প্রতিমাসের ১০ তারিখের যেকোন দিবসে ভাতার টাকা তোলার জন্য ওই সকল ব্যাংকের নিচে, ব্যাংকের সিঁড়িতে, নতুবা রাস্তায় অপেক্ষা করতে হতো ঘন্টার পর ঘন্টা। এমনকি সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো ভাতার টাকার জন্য। এতে করে ওই সকল ভাতাভোগীদের দূর্ভোগ শেষ ছিলনা।
গতকাল সোনাতলা উপজেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই তিন ব্যাংকে উপজেলার ৫০ হাজার ভাতা ভোগীদের নির্ধারিত দিবসে উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ওই দিবসে তারা সুন্দর পরিবেশে ভাতার টাকা গ্রহণ করতে পারবে।
এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটন জানান, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ প্রায় ৪৯ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বয়ঃবৃদ্ধ নারী পুরুষেরা ভাতার টাকা নিতে এসে ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে। এ জন্য তারা এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার ভাতাভোগীর দূর্ভোগের অবসান ঘটালো।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ সামিউল ইসলাম জানান, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। অনেক সময় দেখা যায় রাস্তার উপর অনেক বয়ঃবৃদ্ধ লোক প্রকৃতির কাজ সেড়ে ফেলে। এছাড়াও প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে বয়স্ক নারী পুরুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুর আলম জানান, বয়স্ক নারী পুরুষ ও বিভিন্ন ধরনের ভাতাভোগীদের দূর্ভোগের অবসান ঘটাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও সোনালী ব্যাংক বালুয়াহাট শাখা থেকে নেয়া ভাতাভোগীদের সুবিধা বালুয়াহাট উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দ আহম্মদ কলেজ ষ্টেশন সোনালী ব্যাংক থেকে নেয়া সুবিধাভোগীদের ভাতা সৈয়দ আহম্মদ মডেল মাদ্রাসা থেকে পরবর্তী মাস থেকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।