গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল হত্যা মামলার মুল আসামীকে চার্জশীট থেকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ | Daily Chandni Bazar গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল হত্যা মামলার মুল আসামীকে চার্জশীট থেকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০১৯ ০২:৫৫
গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল হত্যা মামলার মুল আসামীকে চার্জশীট থেকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল হত্যা মামলার মুল আসামীকে চার্জশীট থেকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আলোচিত সাঁওতাল হত্যা মামলার চার্জশীট প্রদান করেছে গাইবান্ধা পিবিআই। চার্জশীটে ৯০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এদিকে মামলার প্রধান আসামীকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর  সড়কের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে সাঁওতালরা।

জানা গেছে,দীর্ঘ পৌনে তিন বছর পর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গাইবান্ধা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার রোববার সকালে ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এই চার্জশিট দেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে ৯০ জনের মধ্যে রংপুর চিনিকলের জিএম (অর্থ) নাজমুল হুদা, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুল রয়েছেন। তবে সাঁওতালদের দাবী অনুযায়ী সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ মুল আসামীদের বাদ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্মের ১ হাজার ৮৪০ একর জমি ফেরত পাওয়ার দাবীতে ২০১৬ সালে আন্দোলনে নামে স্থানীয় সাঁতালরা। তারা ফার্মের জমি দখলে নিয়ে বাড়ি-ঘর নির্মান করে।ওই বছরের ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ সাঁওতালদের উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশ ও সাঁওতালদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩ সাঁওতাল নিহত হয়। সেই সাথে সাঁওতালদের বাড়ি ঘর আগুন লাগিয়ে পুড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে এই চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই।

এদিকে মামলার প্রধান আসামীকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর  সড়কের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে সাঁওতালরা। অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, আদিবাসী নেতা বার্নাবাশ টুডু, প্রিসিলা মুরমু, স্বপন শেখ, সুফল হেমব্রম, আদিবাসী নেতা রাফায়েল হাসদাসহ অন্যান্যরা।

এদিকে অবরোধের খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মন ও থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি প্রধান আতাউর রহমান বাবলু, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজু ঘটনাস্থলে গিয়ে আদিবাসী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি আইনী ভাবে মোকবেলার পরামর্শ দিলে বিক্ষুদ্ধ আদিবাসীরা অবরোধ তুলে নেয়।