বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ৮ জনের মৃত্যু | Daily Chandni Bazar বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ৮ জনের মৃত্যু | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩১ জুলাই, ২০১৯ ২১:৩২
বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ৮ জনের মৃত্যু
ষ্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ৮ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সারিয়াকান্দির পূর্বাঞ্চলের চরের বন্যা পরিস্থিতর উন্নতি হচ্ছে। দীর্ঘ ২০ দিন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বাড়ি-ঘর নষ্ট হওয়ায় মানুষ বাড়িতে ফিরতে পারছেনা। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে বন্যাজনিত কারণে জেলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে বাঙালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে থাকায় তিনটি উপজেলা গাবতলী, শাজাহানপুর ও শেরপরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, আজ বুধবার বিকালে সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি যতই নীচে নামছে ততোই বন্যার ক্ষয়ক্ষতির চি‎হ্ন ফুটে ওঠছে। বাঙালী নদীর পানি  এখনও বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার অন্য তিনটি উপজেলা গাবতলী, শাজাহানপুর ও শেরপুরের ৯৬৯ হেক্টর ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে জেলার ৬ টি উপজেলায় মোট ২৬ হাজার হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এনিয়ে ৬ টি উপজেলায় ৭৪ হাজার পরিবারের ৩ লাখ মানুষ ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। বন্যা জনিত কারনে এ পর্যন্ত ৬ উপজেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪ হাজার ৫৫২ টি পুকুরের ১ হাজার ৫৩২ মেট্রিকটন মাছ ভেসে গেছে। যার র্মূল্য ২৬ কোটি টাকা। ১৭৬ টি প্রাথমিক স্কুল, ৪৩ টি মাধ্যমিক স্কুল, ২০ টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৩ টি মাদ্রাসা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এ সব অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে আছে।

এ পর্যন্ত জেলায় ৩ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৯৮২ মেট্রিক টন চাল, ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার জিআর ক্যাশ, ৪ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ক্রয় করা হযেছে। ৩ লাখ টাকার গো- খাদ্য ক্রয়ের জন্য পাওয়া গেছে।

বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, জেলায় বন্যাজনিত কারণে ৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলায় সাপে কেঁটে ১জন, সোনাতলায় ৩ জন ও গাবতলী উপজেলায় এবং ধুনট উপজেলায় ১ জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। সব মিলিয়ে বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৩৮৯ হেক্টর ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে।