জয়পুরহাটে ট্রেনে কাটা পরে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বনখুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ সালিশি বৈঠকে মারধরের ঘটনায় সে আত্মহত্যা করেছে। নিহত নার্গিস সদর উপজেলার চকমহন গ্রামের মামুনুর রশীদের মেয়ে। নিহত গৃহবধূর বাবা মামুনুর রশীদ জানান, তার মেয়ে নার্গিসের এর আগে বিয়ে হয়েছিল তার ৫ বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। দুই মাস আগে চকমহন গ্রামের আধিবাসী সুভাষ পাহানের ছেলে অজিত পাহান সাথে প্রেমের সর্ম্পক হয়। কিছু দিন আগে অজিত পাহান ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেন মহরে জয়পুরহাট আদালতে এফিডেভিট করে আমার মেয়েকে বিয়ে করে। গত বৃহস্পতিবার মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সালিশি বৈঠকে আমার মেয়েকে মারধর করলে সে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে।
মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে আমার কাছে তথ্য আসে বিয়েকে কেন্দ্র করে মুসলিম ও অধিবাসিদের মধে সংঘর্ষ হতে পারে আর এই কারনে তাদের দুইজনকে নিয়ে আমার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশি বৈঠক করি। ্ওই বৈঠক চলাকালে নার্গিস উপস্থিত সবার সাথে ঔদ্ধত্য আচরণ করলে কিছুটা শাসন করি, মারধরের অভিযোগ সঠিক নই । বৈঠক শেষে সে চলে যায় পরে জানতে পারি সে ট্রেনে কেটে মারা গেছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, ট্রেনে কাটা পরে এক একগৃহবধূ মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনান্থল পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে মারধরের অভিযোগ আসেনি । অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।