নন্দীগ্রামে আসামীর হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার পর দুইজন গুলিবিদ্ধ | Daily Chandni Bazar নন্দীগ্রামে আসামীর হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার পর দুইজন গুলিবিদ্ধ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৪ আগস্ট, ২০১৯ ০১:০০
নন্দীগ্রামে আসামীর হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার পর দুইজন গুলিবিদ্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক

নন্দীগ্রামে আসামীর হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার পর দুইজন গুলিবিদ্ধ

 বগুড়ার নন্দীগ্রাামে হত্যা মামলার আসামীর হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার পর আবারো বাদী পক্ষের গুলিতে জামাল হোসেন (৩৩) ও পুটু মিয়া (৪৫) নামের দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় গ্রামবাসী ধাওয়া করে পিস্তলসহ আব্দুস সালাম (২৮) নামের এক যুবককে আটক করে এবং তার ব্যবহৃত একটি মটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষন চেচুয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। হায়দার হত্যা মামলার আসামী আনোয়ার হোসেন শাহীনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার পর বাদী পক্ষের লোকজনই এঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়,গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চেচুয়াপাড়া গ্রামের রাস্তায় অপরিচিত চার যুবক মটর সাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এসময় গ্রামের রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা লোকজনকে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা গুলি বর্ষন করে। এতে জামাল ও পুটু পায়ে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হন। চার যুবক পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী ধাওয়া করে আব্দুস সালাম মটরসাইকেলসহ আটক করে।এরপর তার মটরসাইকেলে আগুন দেয়া ছাড়াও তাকে গনপিটুনী শুরু করে। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পৌছে আব্দুস সালামকে তাদের হেফাজতে নেয়। এরপর তার দেহ তল্লাশী করে পকেট থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। আটক আব্দুস সালাম, হায়দার হত্যা মামলার বাদী গফুরের জামাই পরিচয় পেয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসী গফুর ও তার পরিবারের বাড়িঘরে আগুন দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে নিবৃত করে।
থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে। গ্রামবাসীকে,শান্ত থাকার আহবান জানানো হয়েছে। সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১২ সালের ১২ডিসেম্বর একই গ্রামের হায়দার হত্যা মামলার আসামী আনোয়ার হোসেন শাহীন। তিনি সম্প্রতি জামিনে মুক্তিপান। গত বুধবার গভীর রাতে নিহত হায়দারের স্বজনেরা শাহীনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে আটকে রেখে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ও এক হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়। ভোর রাতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।এঘটনার পর থেকে গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল