বগুড়ার শেরপুরে প্রভাবশালী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিনু গ্রুপের মালিক শিল্পপতি শফিকুল ইসলাম শিরু ও তার কুচক্রী মহলের রোষানল থেকে বাঁচতে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ২য় স্ত্রী আফরোজা আক্তার লিপি। মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি, নানা হয়রানির অপচেষ্টা এবং তার ছেলেসহ পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৯ আগস্ট শুক্রবার বেলা ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আফরোজা আক্তার লিপি বলেন, শেরপুরের ধর্নাঢ্য ব্যাক্তি শিল্পপতি শফিকুল ইসলাম শিরুর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ২০০৯ সালে বিয়ে এবং একটি সন্তান হয়। পিতৃত্বের দাবী অস্বীকার করে পরবর্তীতে ওই শিল্পপতি কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার মামলা ও অভিযোগ কৌশলে তুলে নেওয়ায়। আমি সহজ সরলভাবে শিরুর বিরুদ্ধে তৎকালীন অভিযোগ তুলে নিলেও তিনি আমাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগস্ট রাত ৮টার দিকে শফিকুল ইসলাম শিরু ও তার প্রথম স্ত্রী শামিমা আক্তার কুসুম এবং বড় মেয়ে শাম্মী আক্তার শিনু মিলে কৌশলে আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রশাসনিক হয়রানির করার জন্য কৌশলে ১০ হাজার টাকা বিশেষ চিহ্নিত করে উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে কামাল হোসেন কে আমার কাছে পাঠায়। এক পর্যায়ে আমার হাতে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এতদিন পরে ওই টাকা শিরু সাহেব পাঠিয়েছে বলায় আমার সন্দেহ হলে আমি তাকে থানা পুলিশে সোপর্দ করি।
এসময় কামাল ওই প্রসঙ্গে শহরের উত্তরসাহাপাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে মিনারুল হক তাকে দিয়েছে বলায় থানা পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে থানায় আনে। মিনারুল তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই এলাকার সুশীল শীলের স্ত্রী হাসি মজুমদার, বুলবুলি মজুমদার সুশিল, পল্লব সম্প্রতি ১০/১৫দিন আগে শিল্পপতি শিরুর বাড়ীতে বৈঠক করে এবং আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বগুড়া র্যাব দিয়ে মাদকের বিক্রির অভিযোগে মিথ্যা মামলা সাজানোসহ নানা হয়রানির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শিল্পপতি শিরুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে থানায় মামলা দিতে গেলেও স্থানীয় পুলিশ অপরাগতা প্রকাশ করছে। এহেন পরিস্থিতিতে তার ছেলে সোয়াদ ইসলাম সায়াম, বড়বোন বিউটি খাতুনসহ জীবনের নিরাপত্তাহীনতা বিধান এবং ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আফরোজা আক্তার লিপি।
এ ব্যাপারে শিল্পপতি শফিকুল ইসলাম শিরু সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি কাউকে টাকা দিয়ে পাঠায়নি এবং কাউকে চিনিনা, তার অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।