টেপামধুপুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় কাউনিয়ায় ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ | Daily Chandni Bazar টেপামধুপুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় কাউনিয়ায় ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১০ আগস্ট, ২০১৯ ১৮:৪১
টেপামধুপুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় কাউনিয়ায় ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

টেপামধুপুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় কাউনিয়ায় ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী টেপামধুপুর হাটে পশু ক্রয় ও বিক্রয়ে হাট ইজারাদার দীর্ঘদিন থেকে সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নখদর্পনে অতিরিক্ত টোল আদায় করে আসলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে হাটে ক্রেতা বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে।

সরেজমিনে গতশনিবার টেপামধুপুর হাটে গিয়ে দেখাগেছে কোরবানীর ঈদকে সামনেরেছে পছন্দের পশু কেনার জন্য দুরদুরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে এই হাটে। এই হাটে প্রচুর গরু-ছাগল এর আমদানী হয়ে থাকে আর এই সুযোগে হাটের ইজারাদার মোফাকখাখারুল ইসলাম স্বপন তার লোকবল দিয়ে টোল আদায়ের নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধঙ্গুলি দেখিয়ে তার ইচ্ছা মাফিক গরু ক্রেতার কাছ থেকে গুরু প্রতি ৬০০ এবং বিক্রেতা ২০০ এবং ছাগল ক্রেতার ২০০ ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করছে অথচ রশিদে সেই টাকা তোলা হচ্ছে না।

এভাবে জনগনের আর্থিক ক্ষতি করলেও কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারনে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। দেশে ভোক্তা অধিকার আইন থাকলেও এই হাটে তা অনুপস্থিত। অনেকে মন্তব্য করে বলেছেন হাটের ইজারাদার তার ইচ্ছা মাফিক এই হাটে বিভিন্ন পন্যের অতিরিক্ত টোল আদায় করলেও এসব দেখার ও বলার যেন কেউ নেই। জনগন এর পকেটের টাকা সুকৌশলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিন্তু জনগনের করার কিছুই নাই। ঈদের আগে সকলে পছন্দের পশু ও প্রয়োজনীয় কেনা কাটা নিয়ে ব্যাস্ত, টোল নিয়ে ইজরাদারের সাথে কোন ঝামেলায় জরাতে চায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজানান অতিরিক্ত টোলের টাকা প্রভাবশালীমহল থেকে শুরু করে প্রায় সকলেই ভাগ পায়,তাই সকলেই দেখেও না দেখার ভান করে। কয়েকদিন আগে লোক দাখান ভ্রাম্যমান আদালত করে আদায়কারী আমজাদ হোসেনের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অথচ জরিমানা করার কথা ইজারাদারের।

রংপুর থেকে পশু কিনতে আসা গ্রাহক রফিকুল ইসলাম জানান এই হাটে বাজার ব্যবস্থাপনার কোন বালাই নাই,যার যে ভাবে খুশি তা করছে,হাটে বিশুদ্ধ পানি ও গন শৌচাগার নেই বললেই চলে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বেহাল দশা,ড্রেন গুলো মাটি ও নানা নোংড়া আবর্জনা দিয়ে ভর্তি। এই কাজগুলো ইজারাদারের করার কথা। এব্যাপারে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ উলফৎ আরা বেগম আমি শুনেছি আমি নিজে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

থানা অফিসার ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি বিষয়টি নির্বাহী অফিসার কে জানাব এবং আমি নিজে হাটে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। হাটের ইজারাদারের এ অনৈতিক কাজ বন্ধের ব্যাপারে ভোক্তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।