বগুড়ার শেরপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে আটক করেছে। আটককৃত হলো গোলাম রব্বানী (২৭), রেজাউল করিম(২৮), মো. শামীম হোসেন(৩০) ও সুবল চন্দ্র (৪০)। ডাকাতদের ধরতে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল মো. গাজিউর রহমান আহত হয়েছেন।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের কাশিপাড়া এলাকায় গত ২৬ জুন তৃতীয় লিংগদের (হিজরা) মাইক্রোবাসে ডাকাতি ও ২৮ জুলাই ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে গরু প্রজনন ব্যবসায়ীকে হত্যা করে গরু লুটের ঘটনায় ২৮ জুলাই অজ্ঞাতদের নামে শেরপুর থানায় মামলা হয়। মামলা উদঘাটনের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল মো. গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল মো. গাজিউর রহমান গোপন সংবাদ পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বুলবুল ইসলাম ও এসআই ওসমানসহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে অভিযান চালিয়ে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার বাশৌ গ্রামের সমেজ উদ্দিনের ছেলে গোলাম রব্বানীকে শাকপালা মোড় থেকে ধুনট উপজেলার নাংলু গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে রেজাউল করিম ও সোনাতলা উপজেলার লোহাগাড়া গ্রামের আমম্মদ প্রমিানিকের ছেলে শামীম হোসেনকে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের শ্রী যতিন চন্দ্রের ছেলে সুবল চন্দ্রকে ছোনকা বিসমিল্লাহ হোটেলের সামনে থেকে আটক করে। ডাকাতদের ধরতে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল মো. গাজিউর রহমান আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল মো. গাজিউর রহমান বলেন, আটককৃত আন্ত:জেলা ডাকাত দলের এই সদস্যরা দেশের বগুড়া, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, গাজিপুর, সিলেট সহ বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করে বেড়ায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ডাকাত দলের সর্দার সুকুমার ওরফে ধনেশ^ গত বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বাজারে সর্বহারা দলের নেতা আফজাল গ্রুপের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।