সাঘাটায় কচুয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ মেম্বারের অনাস্থা | Daily Chandni Bazar সাঘাটায় কচুয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ মেম্বারের অনাস্থা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০১৯ ০৫:০১
সাঘাটায় কচুয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ মেম্বারের অনাস্থা
সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

সাঘাটায় কচুয়া ইউপি চেয়ারম্যানের 
বিরুদ্ধে ১২ মেম্বারের অনাস্থা

সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া কমিটির মাধ্যমে উন্নয়ন মূলক কাজ না করেই সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ মেম্বার অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবের রেজ্যুলেশন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেছে। 
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে দায়েরকৃত অভিযোগে জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন (সকল) ইউপি সদস্য ও সদস্যদের স্বাক্ষরিত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবর রহমান নিজেই মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সরকারি প্রকল্পের প্রায় ২১ লাখ টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করেছে।

এসব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের চিহ্নমাত্রও নেই। গত ২ বছরে ইউপি ট্যাক্স ৮ লাখ টাকা আদায় করা হলেও বোনারপাড়া রাকাব শাখায় জমা রয়েছে মাত্র চুয়ান্ন হাজার টাকা। অবশিষ্ট টাকার কোন হদিস নেই। জন্ম নিবন্ধন ফি বাবদ গত ১ বছরে আদায়কৃত ২ লাখ টাকা, এডিপি’র খাতে বরাদ্দকৃত ১ লাখ টাকা, রাজস্ব (১%) খাত হতে গত ১২ই ডিসেম্বর ২০১৮ইং তারিখে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০১৯ইং তারিখে ১ লাখ ২১ হাজার টাকা, ২১শে এপ্রিল ২০১৯ইং তারিখে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ১৪ই জুলাই ২০১৯ইং তারিখে ১ লাখ টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করেন। 

অপরদিকে, পাঠানপাড়া সরকারি রাস্তার নিলামে বিক্রি করা ৭টি গাছের প্রায় ১ লাখ টাকারও কোন হদিস নেই। এছাড়াও গত অর্থবছরে এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত সাড়ে ৪ লাখ টাকা তার নিজস্ব কেজি স্কুলে ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, কচুয়া ইউনিয়নে কয়েক দফায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের অধীনে ১৩টি ঘর বরাদ্দ হলে তা উক্ত চেয়ারম্যান মনগড়া ভাবে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের নাম চূড়ান্ত করেন। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে কখনো মেম্বারদের মতামত নেওয়া হয় নি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করে কোন সুরাহা না হওয়ায় ইউপি মেম্বারগণ গত ১৪ই জুলাই ২০১৯ইং তারিখে এসব অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবর রহমান জানান, অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সত্য নহে। ইউপি মেম্বারদের বিভাজন অনুযায়ী উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের বরাদ্দ দেওয়া হয়। একটি মহলের উষ্কানীতে ইউপি মেম্বাররা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।