বগুড়ায় স্কুল ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার দুই কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা | Daily Chandni Bazar বগুড়ায় স্কুল ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার দুই কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ২০:১১
বগুড়ায় স্কুল ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার দুই কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা
ষ্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ায় স্কুল ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার দুই কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার বাসিন্দা স্কুলছাত্রী মায়িশা ফাহমিদা সেমন্তিকে (১৪) আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে দুই কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করা হলো। সোমবার দাখিল করা অভিযোগটি বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক একেএম ফজলুল হক তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

আত্মহননকারী স্কুল ছাত্রীর বাবা হাসানুল মাশরেক রুমন সোমবার বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে-১ অভিযোগ দায়ের করেন।
এই অভিযোগে তিনি, বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির আহমেদ (২০) ও একই এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে শাহারিয়ার অন্তু’র (২১) বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীর নগ্ন ছবি তোলার পর ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করানোর অভিযোগ করেছেন। অভিযোগনামায় অভিযুক্ত দুইজনই বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র। 

বগুড়ার স্কুল ছাত্রী সেমন্তির বাবা হাসানুল মাশরেক এর আগে ওই একই অভিযোগে গত ২১ আগস্ট উল্লেখিত দুই জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। সেই আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআডি) নির্দেশ দিয়েছেন।

বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নরেশ মুখার্জ্জী জানান, স্কুল ছাত্রী সেমন্তির আত্মহত্যায় প্ররোচনা সংক্রান্ত মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বগুড়া পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।অভিযোগে আরো বলা হয়, সেমন্তির সঙ্গে কলেজ ছাত্র আবিরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আবিরের পরামর্শে সেমন্তি তার মোবাইল ফোনে কিছু নগ্ন ছবি ধারণ করে। এরপর ওই ছবিগুলো সেমন্তির মোবাইল ফোন থেকে আবির তার নিজের মোবাইল ফোনে নিয়ে নেয়। তারপর ওই ছবিগুলোর একটি শাহারিয়ার অন্তু মোবাইল ফোনে পাঠায় আবির।

এরপর আবির ও অন্তু সেমন্তিকে ফোন করে ওই ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে সেমন্তি গত ১৮ জুন দিবাগত ভোর রাতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নার কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।এ মামলার বাদী হাসানুল মাশরেক রুমন মামলায় অভিযোগ করেন, তার মেয়ে আত্মহত্যার কয়েক ঘন্টা আগে আবির তাকে দু’ বার ফোন দেয় এবং বলে ‘আপনার মেয়ে আজ রাতে সুইসাইড করতে পারে।’ উল্লেখ্য, বগুড়া ওয়াইএমসিএ স্কুল ও কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী মায়িশা ফাহমিদ সেমন্তি গত ১৮ জুন দিবাগত রাতে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নার কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।