গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কার্য্যকলাপের বিচার দাবী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট লেখিত অভিযোগে দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বোগদহ ভেলামারী নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহুরুল ইসলাম ওরফে বেলাল অত্র বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রীর সাথে দুই বছর পূর্বে অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে তোলে।তৎকালিন সময় বিষয় টি নিয়ে এলাকায় বেশ গুঞ্জন সৃষ্টি হলে সামাজিক ভাবে আলোচনা সাপেক্ষে ঐ ছাত্রীর অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয় শিক্ষক জহুরুল ইসলাম।
দীর্ঘ দিন পরে হলেও অবশেষে কৌশলে জহুরুল ইসলাম তার নিকট আত্নীয় নাচাই কোচাই গ্রামের মৃত্যু বকুল মেম্বারের পুত্র জিন্নাতুল ইসলাম এর সহিত গত বছর ৪ এপ্রিল বিয়ে দেয়। এদিকে লম্পট শিক্ষক জহুরুল তার চরিত্র না পাল্টিয়ে পূণরায় ঐ বিবাহিতা ছাত্রীকে মোবাইল ফোনের মধ্যমে সর্ম্পক রেখেই চলছে। এক পর্যায়ে সর্ম্পক আরো গারো করতেই লম্পট নাচাই কোচাই গ্রামে একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আর এই সুবাদে অবাধে জিন্নাতুল ইসলামের বাড়ীতে যাতায়াতের মাধ্যমে অবৈধ যৌন সর্ম্পকে লিপ্ত থাকে।
এঘটনা জিন্নাতুল ইসলাম ও নিকট আত্নীয় প্রতিবেশিরা বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হলে জিন্নাতুল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ী হাউসিপাড়া আশরাফুলের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।সেখানেও লম্পট শিক্ষক আবারো ছাত্রীর বাবার বাড়ীতে যাওয়ার চেষ্টা করলে আশরাফুল ইসলাম গত ২১ আগষ্ট বিচার চেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী র্কমকর্তার দপ্তরে লেখিত অভিযোগ করেছেন বলে অফিস সহকারী আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে যোগযোগ করলে তিনি জানান, অভিযোগ যখন হয়েছে জবাব যাহা দেওয়ার প্রয়োজন সেখানেই দিবো।