বগুড়ায় ৩ দিনের মাথায় কোর্ট থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী সাগর গ্রেফতার | Daily Chandni Bazar বগুড়ায় ৩ দিনের মাথায় কোর্ট থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী সাগর গ্রেফতার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০১:৫৭
বগুড়ায় ৩ দিনের মাথায় কোর্ট থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী সাগর গ্রেফতার
ষ্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ায় ৩ দিনের মাথায় কোর্ট থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী সাগর গ্রেফতার

বগুড়ায় পুলিশকে মারধর করে কোর্ট থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী সাইফুল ইসলাম সাগরকে (২৮) ৩ দিনের মাথায় আবারো গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকা থেকে সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি চৌকশ দল তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সাগর শেরপুর থানার বনমরিচা গ্রামের মৃত শাজাহান সোনারের ছেলে।

উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে শেরপুর থানার একাধিক মাদক মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম সাগরকে পুলিশ আদালতে হাজির করেন। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জামিন না মঞ্জুর হওয়া আসামীদের কারাগারে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশের উপ-সহকারী টাউন পরিদর্শক (এটিএসআই) কবিরের ওপর হামলা করে সাগর।

এ সময় বুকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যান ধুর্ত আসামী সাগর। এঘটনায় পরদিন দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এটিএসআই কবিরকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয় জেলা পুলিশের পক্ষে। এ ঘটনায় আদালতে কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এমদাদুল হক বাদী হয়ে সাগরের নামে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস. এম বদিউজ্জামান জানান, আসামী সাগরের বিরুদ্ধে গ্রেফতার হতে পলায়ন এবং দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার উপর হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী তাকে বৃহস্পতিবার পুনরায় কোর্টে বিচারিক কার্যক্রমের জন্য প্রেরণ করা হবে।

এ ঘটনায় বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী জানান, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। পুলিশের উপর হামলা করে পলায়ন করে আসামী সাগর আইনের চরম লংঘন করেছেন তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবং শাস্তির জন্য আবারো কোর্টে প্রেরণ করা হবে। এ ধরণের ঘটনা ভবিষ্যতে কাউকে না করারও আহবান জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।