বেকারত্ব বারলে ক্ষতি কি? জীবন বাঁচলে আর কি? | Daily Chandni Bazar বেকারত্ব বারলে ক্ষতি কি? জীবন বাঁচলে আর কি? | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০১:০২
বেকারত্ব বারলে ক্ষতি কি? জীবন বাঁচলে আর কি?
শুভ কুন্ডু, শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

বেকারত্ব বারলে ক্ষতি কি? জীবন বাঁচলে আর কি?

হাইকোর্টের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন জেলার ন্যায় বগুড়ার শেরপুরেও হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ মহাসড়কে তিন চাকায় চালিত সবধরনের যান চলাচল বন্ধে সক্রিয়। নছিমন-করিমন, সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত তিন চাকার ইজিবাইকসহ সবধরনের অবৈধ যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্ট অনেক আগেই দিয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। তবে বাস্তবায়নের পক্রিয়া চলছে। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এসব যান চলাচল করায় নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার পরেও দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি থামানো যাচ্ছে না। যদিও মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের এই পক্রিয়ায় জনসাধারনের সাময়িক দূর্ভোগ বেড়েছে, আবার একই ভাবে মহাসড়কে নিষিদ্ধ ঐ সকল যানবাহনের চালকগুলোও আয় কমে যাওয়ায় এই পেশা ছেড়ে দিয়ে বেকার হয়ে যাচ্ছে।

শেরপুর তিন চাঁকা সিএনজি মালিক সমিতির সাবেক নেতা মো: সোহেল সহ একাধিক থ্রি হুইলারের মালিক ও শ্রমিক জানান, মহাসড়কে তিন চাঁকার সিএনজি ও অটোরিক্সা চলতে না পারলে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ব। তারা সবাই জানান, আমরা যে গাড়ি কিনেছি সারে চার লাখ টাকায় সেই গাড়ি মহাসড়কে চলাচল করতে না পারায় বর্তমান দাম দারিয়েছে দের লাখ টাকা। আমাদের এই ক্ষতি পূরন কে করবে? বিভিন্ন এনজিও বা সমিতির কাছ থেকে লোন করে আমরা গাড়ি কিনেছি এখন সেই লোন শোধ করবো কিভাবে? তবে সাময়িক এই সমস্যা স্থায়ী সমাধান আনতে পারে বলে মনে করছেন হাইওয়ে পুলিশ।

কুন্দার হাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাজল নন্দী বলছেন, সারা বাংলাদেশে মহাসড়ক আছে আনুমানিক দের লক্ষ কি:মি: তার মধ্যে সাত হাজার কি:মি: তিন চাকার জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তাহলে বাকী একলক্ষ তেতাল্লিশ হাজার কি:মি: রাস্তায় তারা চলাচল করতে পারবে। ধিরগতির এই তিন চাকার যানবাহন গুলোর কারনে একদিকে যেমন জনসাধারনের যানজট ও ভোগান্তি বাড়ছে অন্যদিকে রাস্তা পারাপার সহ বিভিন্ন ভাবে বিগ্ন ঘটিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ করায় সাময়িক সমস্যা হলেও হতে পারে স্থায়ী সমাধান। কারন আগে জীবন তার পরে জীবিকা।

কুন্দার হাট হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ কাজল নন্দী আরও বলেন, মহাসড়কের যেকোনো জায়গায় দারিয়ে থাকলে প্রতি ১২ মিনিট পরপর একটি করে লোকাল বাস আসবে এবং যেকোনো যাত্রি হাত তুললেই তাকে নিতে বাধ্য থাকবে ওই লোকাল বাস। শেরপুরে প্রতিটি মহাসড়কে চলাচলরত লোকাল বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে আমরা এই বিষয় নিশ্চিত করেছি। যদি কোনো যাত্রি হাত তোলার পরও তাকে না নেওয়া হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। অন্যদিকে থাকল মালিক ও শ্রমিকদের সমস্যা যা কোনো না কোনো ভাবে সমাধান হয়েই যাবে কিন্তু আমরা মহামান্য আদালতের নির্দেশে যানযট মুক্ত সুন্দর একটি মহাসড়ক উপহার দিতে পারবো সবাইকে এবং দূর্ঘনাও কমবে। এতে সাময়িক সমস্যা হলেও হবে দির্ঘস্থায়ী সমাধান।