বগুড়ায় নতুন পাঠ্যপুস্তক আসছে চাহিদা ৭৪ লাখ | Daily Chandni Bazar বগুড়ায় নতুন পাঠ্যপুস্তক আসছে চাহিদা ৭৪ লাখ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৭ অক্টোবর, ২০১৯ ২২:০৭
বগুড়ায় নতুন পাঠ্যপুস্তক আসছে চাহিদা ৭৪ লাখ
এইচ আলিম

বগুড়ায় নতুন পাঠ্যপুস্তক আসছে চাহিদা ৭৪ লাখ

ছবি: প্রতীকী

নতুনের সুবাস ছড়তে শুরু করেছে। পাতায় পাতায় নতুনের আহবান আর শিশুদের মনে ভিন্নরকম আনন্দের। নতুন বই পাওয়ার এই আনন্দকে আরো বড় পরিসারে সাজাতে বছরের প্রথম দিনে এখন বই উৎসব করে শিশুদের পাঠে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। আর এই নতুন বই বগুড়ায় আসতে শুরু করেছে। 

শিক্ষাবর্ষ শুরুর ৩ মাস আগেই ২০২০ সালের মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক স্কুলে পৌঁছে যাচ্ছে।মাধ্যমিক পর্যায়ের পর আসবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই। জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন জেলায় ম্যধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৫৪ লাখ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ২০ লাখ নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে। ইতিমধ্যে আংশিক নতুন বই এসে পৌঁছেছে বগুড়ায়।
বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল রয়েছে ৪৩৪টি। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫টি এবং সম্প্রতিক সময়ে এসে আরো ৮টি মোট ১৩টি স্কুল সরকারি রয়েছে। শিক্ষার্থী অনুযায়ি সকল শ্রেণীর জন্য আগামী ২০২০ সালের নতুন বইয়ের প্রয়োজন রয়েছে ৫৪ লাখের কিছু বেশি। নতুন বইয়ের একটি চাহিদাপত্রও প্রেরণ করা হয়েছে। নতুন বই আংশিক বগুড়ায় পৌঁছেছে। আরো কিছু বই আসবে। নতুন যে বইগুলো আসছে তা নিয়ম অনুযায়ি উপজেলায় প্রেরণ করা হয়। জেলার সোনাতলা উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যেই ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩শ’ ২০ সেট পাঠ্যপুস্তক পাওয়া গেছে।

বাকি উপজেলাতেও পৌঁছে যাবে সকল শ্রেণীর নতুন বই। মাধ্যমিক ছাড়াও প্রাথমিক পর্যায়ের বইও আসবে কয়েকদিনের মধ্যে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলা রচনা, বাংলা দ্রুত পাঠ, ইংরেজি গ্রামার, সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা, কৃষিশিক্ষাসহ বিষয় ভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক স্কুলে পৌঁছানো হচ্ছে। 

বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারি মনিটরিং অফিসার আঞ্জুমান শাহানী জামানী জানান, জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে মোট ১ হাজার ৬০৩টি। এইসব স্কুলে নতুন বই অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যেই চলে আসবে। চাহিদা রয়েছে প্রায় ২০ লাখ সেট। নতুন বই পাওয়ার পর ১ জানুয়ারি বই উৎসব করা হবে। নতুন পেলে শিশুদের মাঝে শিক্ষার আগ্রহ এবং ভাল ফলাফলের ব্যাপারে আগ্রহ আরো বাড়ে। 

বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আমান উদ্দিন মন্ডল জানান, জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের বই আসতে শুরু করেছে। দুই একটি উপজেলায় ইতিমধ্যে নতুন বই পৌঁছেছে। চাহিদামত নতুন বই পাওয়া যাবে। এবারও ১ জানুয়ারি বই উৎসব করা হবে। উপজেলা পর্যায়ে সকল শ্রেণীর জন্য ২০২০ সালের নতুন বই পর্যায়ক্রমে পাঠানো হচ্ছে। চাহিদার আংশিক নতুন বই পাওয়া গেছে। আরো আসবে। সরকার প্রতি বছর ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে শিক্ষাবর্ষ শুরুর পূর্বেই প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষার্থীদের চাহিদার বিপরীতে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে যাচ্ছে।