বগুড়া জেলা পুলিশের আয়োজনে শনিবার সকালে পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে মাসিক কল্যাণ এবং অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সেপ্টেম্বর মাসের কৃতকার্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৩জন পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্রেস্ট এবং ২৯ জনকে অর্থ পুরস্কার সর্বমোট ৬২ জন পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। যাদের মাঝে অনেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও অর্থ দুই পুরস্কারেই ভূষিত হয়েছেন। বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চৌকস কার্য সম্পাদন, সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিলকারী, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটনকারী, শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী কর্মকর্তা ও বিশেষ পুরস্কার এই ৬ ক্যাটাগরীতে সেপ্টেম্বর মাসের কৃতকাজের উপর ভিত্তি করে পুলিশ সদস্যদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর দেয়া তথ্যমতে, সভায় সম্মাননা ক্রেস্ট অর্জনকারী পুলিশ সদস্যরা হলেন- ‘চৌকস কার্য সম্পাদনকারী’ ক্যাটাগরীতে এমাসে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন নন্দীগ্রাম সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আহমেদ রাজিউর রহমান এবং শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর থেকে দশম বারের মতো পুরস্কৃত হয়েছেন কর্মদক্ষ ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার এস.এম বদিউজ্জামান। এছাড়াও রাজশাহী রেঞ্জে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জনকারী ডিবি টিম হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করা জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ আছলাম আলী পিপিএম পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ ইন্সপেক্টর হিসেবে সম্মাননা।
এই ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যান্যরা হলেন এসআই যথাক্রমে সদর পুলিশ ফাঁড়ির জিলালুর রহমান, সদর থানার জাহিদুল ইসলাম ও শেরপুর থানার আতোয়ার রহমান। এএসআই যথাক্রমে সদর থানার মাসুদ রানা, শিবগঞ্জ থানার মামুনুর রশিদ, সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির আহাম্মাদ রুস্তম ফারুক এবং ডিএসবির খবির উদ্দিন। সভায় এমাসে শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে জেলা গোয়েন্দা শাখার দক্ষ কর্মকর্তা এসআই ফয়সাল হাসান। এছাড়াও সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিলকারী হিসেবে সদর ট্রাফিকের সার্জেন্ট গোপাল চন্দ্র মন্ডল ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটনকারী হিসেবে দুপচাঁচিয়া থানার এসআই শফিকুর রহমানও পেয়েছেন সম্মাননা ক্রেস্ট।
সেপ্টেম্বর মাসের কৃতকাজে সভায় বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেছেন ৬ জন। তারা হলেন, আদমদীঘি সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কে.এইচ.এম এরশাদ, ডিএসবির এসআই সাইফুল ইসলাম, পুলিশ অফিস অপরাধ শাখার এএসআই রিপন চন্দ্র বর্মন, পুলিশ লাইনস্ এর মোটরযান শাখার এএসআই একেএম রাসেল আহম্মেদ ও কন্সটেবল সাদেকুল ইসলাম এবং শ্রেষ্ঠ নারী হেল্প ডেস্ক কর্মকর্তা হিসেবে এই ক্যাটাগরীতে পুরস্কৃত হয়েছেন ধুনট থানার মনোয়ারা খাতুন।
এই মাসে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী ক্যাটাগরিতে বিগত কয়েক মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) মোট ১৪ জন পুলিশ সদস্যকে সম্মানিত করা হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই যথাক্রমে ইনামুল ইসলাম, ওয়াদুদ আলী এবং সাইফুল ইসলাম, এএসআই যথাক্রমে জেলা গোয়েন্দা শাখার নাজিম উদ্দিন, রতন আলী, রুহুল আমিন বিপিএম, মনিরুল ইসলাম এবং শামসুজ্জামান, কন্সটেবল যথাক্রমে মো: আলীম, শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র মহন্ত, রেজাউল করিম, কাবিল হোসেন, জহুরুল ইসলাম এবং নারী কন্সটেবল হিসেবে আখি খাতুন। সম্মাননা ক্রেস্টের পাশাপাশি সভায় এ মাসে জেলার ১২ টি থানার মোট ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে অর্থ পুরস্কার এবং ৩ জন পুলিশ সদস্যকে অবসরোত্তর সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত সকলের হাতে ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার)।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার যথাক্রমে সফিজুল ইসলাম, আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার), আব্দুল জলিল পিপিএম ও মোকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী, সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার গাবতলী সার্কেলের সাবিনা ইয়াসমিন, শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কুদরত-ই খুদা শুভ, শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিনসহ জেলার সকল সার্কেল অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।