বগুড়ার শেরপুরে ছয় বছরের শিশু আশিককে হত্যার দায়ে একই পরিবারের ৪ জনকে আটক করেছে শেরপুর থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার (৩০অক্টোবর) দুপুর থেকে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের যমুনা পাড়া (বটতলা) এলাকার মঞ্জু আলমের শিশু সন্তান আশিক (৬) নিখোজ হয়। পরে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে একই ইউনিয়নের সুরুজ আলীর বাড়ি থেকে নিহত আশিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের যমুনা পাড়া (বটতলা) এলাকার  সিয়াম (১৫), তার ভাই সোহাগ (২৪), বাবা সুরুজ আলী (৪৮) ও মা হামিদা বেগম (৪০)।

জানাগেছে, দুপুর থেকে বাড়ির পার্শ্বে খেলাধুলা করা অবস্থায় নিখোঁজ হয় শিশু আশিক। এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও আশিকের কোন খোঁজ পায়নি পরিবারের লোকজন। সন্ধ্যার পর প্রতিবেশি সুরুজ আলীর বাড়ির লোকজনের সন্দেহজনক আচরনে প্রতিবেশীরা আশিকের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীকে জানায় এবং সুরুজ আলীর বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুজি শুরু করলে একপর্যায়ে খাটের নীচে থেকে বস্তা বন্দী আশিকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় ৪ ঘন্টা পূর্বে আশিকের মৃত্যু হয়েছে। 

এসময় লোকজন ওই বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশকে খবর দেয় এবং পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে খুনের আলামত সহ উপরোক্ত ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয়রা জানান, শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর তার হাত-পা বাধা ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। সুরুজ্জামানের পরিবারের লোকজন মরদেহ বস্তায় ভড়ে গুম করার চেষ্টার সময় তাদের আচরনবিধি প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে ঘরে গিয়ে বস্তা বন্দি লাশ দেখতে পায়। এব্যাপারে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত সিয়াম খেলা নিয়ে দ্বন্দের কারনে মাথায় আঘাত করার কথা স্বীকার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।