সান্তাহার জংশনের স্টেশন মাস্টার নানা অপকর্মে জড়িয়ে পরার অভিযোগ | Daily Chandni Bazar সান্তাহার জংশনের স্টেশন মাস্টার নানা অপকর্মে জড়িয়ে পরার অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:০২
শ্রমিকদল থেকে শ্রমিকলীগে যোগ দিয়ে
সান্তাহার জংশনের স্টেশন মাস্টার নানা অপকর্মে জড়িয়ে পরার অভিযোগ
সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

সান্তাহার জংশনের স্টেশন মাস্টার নানা অপকর্মে জড়িয়ে পরার অভিযোগ

বগুড়ার সান্তাহার জংশন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম পদোন্নতি পেতে রেলওয়ের শ্রমিকদল থেকে শ্রমিকলীগের যোগ দেয়ার পর থেকে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্টেশন মাস্টারের মদদে সান্তাহার স্টেশনের প্লাটফর্ম, রেলগেট ও স্বাধীনতা চত্বরের আশপাশসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অবৈধভাবে বসে ৪ শতাধিক দোকান। কয়েক দফায় এসব দোকান থেকে তোলা হয় চাঁদার টাকা। এসব চাঁদার টাকা তোলেন স্টেশন মাস্টারের ছত্রছায়ায় থাকা কয়েকজন ব্যক্তি। স্টেশন মাস্টার গ্রেড-১ হিসেবে পদন্নোতি পাওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি সহ রেলওয়েতে চাকরি করা তার স্বজনরাও। একসময়ের সক্রিয় শ্রমিকদলের এই নেতা শ্রমিকলীগে যোগদান করেই হয়ে উঠলেন সান্তাহার রেলওয়ে শ্রমিকলীগ শাখার কার্যকরি সভাপতি। 

সান্তাহার রেলওয়ে শ্রমিক দলের সাবেক সদস্য নুরুল ইসলাম বাচ্চু জানান, বিএনপি সরকারের শসনামলে তিনি স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার (এএসএম) পদে চাকরি করতেন। তখন তিনি রেলওয়ে শ্রমিক দলের সাথে ছিলেন এখন শ্রমিকলীগ করেন। সান্তাহার পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রকি বলেন, সাধারন যাত্রীরা দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পায়না। আর স্টেশন মাস্টারের অফিসের কর্মকর্তারা কাউন্টার থেকে ইচ্ছামতো টিকিট কেটে নিয়ে যায়। সাম্প্রতি মাস্টারের নির্দেশে তার অফিসের এক কর্মচারি একসাথে অবৈধভাবে ৬টি টিকিট কেটে নিয়ে যাচ্ছে জানতে পেরে টিকিটগুলো আটকে দেই। ৫ দিন পর স্থানিয়দের অনুরোধে টিকিটগুলো ফেরত দেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, স্টেশন মাস্টারের মদদ না থাকলে প্লাটফর্মে লাইসেন্সবিহীন দোকানগুলো ও রেলগেটে ঝুঁকি নিয়ে লাইনের ওপরে বসা দোকানগুলো বসানো সম্ভব হতোনা। আমি মনে করি এসব অনিয়মের জন্য তিনিই দায়ী। শুধু তাই নয় এ স্টেশনে আমিনুল,বাবু,শান্ত ও মিলন নামের ৪ ব্যক্তি সরকারি,মাস্টাররোল বা চুক্তিভিত্তিক চাকরি না করলেও তারা সর্বাক্ষনিক টিকিট কালোবাজারের সাথে সম্পৃক্ত। আর এদের মৌখিক নিয়োগ দিয়েছেন স্টেশন মাস্টার। এছাড়া এক ট্রেনযাত্রীর অভিযোগ, স্টেশন মাস্টারের ভাতিজা পরিচয়ে সাব্বির হোসেন ঝলক নামের এক ট্রেন পরিচর্যক (এটেনন্ডেন্ট) গত রোববার (১০ নভেম্বর) তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রার সময় টিকিট না থাকায় ওই যাত্রীর কাছে থেকে টিকিটের মূল্য ছাড়াও জরিমানার জন্য অতিরিক্ত ৫০ টাকা নিলেও তাকে কোনো টিকিট দেন নি। আর এব্যাপারে তিনি ট্রেনের গার্ডকে অভিযোগ দিতে গেলে এটেনন্ডেন্টের বিরুদ্ধে ওই গার্ড অভিযোগ নেন নি।

ট্রেনটি সান্তাহারে পৌঁছালে ওই যাত্রী স্টেশন মাস্টারকে বিষয়টি অবগত করলেও তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখেন নি। বরং ওই যাত্রীকে পাগল বলে আকখ্যায়িত করেন। এব্যাপরে সান্তাহার স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, হ্যাঁ আমি একসময় রেলওয়ে শ্রমিকদল করতাম এখন রেলওয়ে শ্রমিকলীগ করি। আর আমার নামে চাঁদা উঠে কিনা তা জানা নেই। তাছাড়া সব প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য নয়।