গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পাঁচপীরের দরগাহ দাখিল মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী ও আয়া দুটি সৃষ্ট পদে গোপনে নিয়োগের পায়তারা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগে আরো জানাযায় শুধু মাত্র নৈশ্য প্রহরী পদে চাকুরীর জন্য শিমুলিয়া গ্রামের জনৈক্য আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হানের নিকট ১০ লক্ষ টাকা গ্রহনের অভিযোগ রয়েছে সুপার আফসার আলী ও সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজারের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী জানায় মাদ্রাসার সুপারও সভাপতি সোগসাজসে একটি জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা গোপন করা হয়।মাদ্রাসার শিক্ষক, অফিস সহকারী এমনকি শিক্ষক প্রতিনিধিরা পর্যন্ত জানেন না কবে কখন কোন পত্রিকায় বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।ফলে যোগ্য অনেক প্রার্থী থাকার পর ও তারা আবেদন করতে পারেনি।কেবল মাত্র সভাপতি ও সুপার তাদের মনোনীত ব্যাক্তিদের দিয়ে আবেদন পত্র করে গোপনে নিয়োগের পায়তারা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে আরো জানাযায় কেবল নৈশ প্রহরী পদে জনৈক্য রায়হানকে নিয়োগ দেওয়ায় কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।শেষ পর্যন্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন করে উক্ত পদে জনৈক্য রায়হানকে নিয়োগ প্রদান করা হলে দুর্নীতি ও অনিয়মের অনন্যদৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে বলে এলাকাবাসীরা জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুপার আফসার আলী জানান,আবেদনের সময় শেষ।তবে উল্লেখিত ব্যাক্তির নিকট টাকা গ্রহনের কথা তিনি অস্বীকার করেন।মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা হাবিজার রহমান দম্ভ উক্তি দিয়ে বলেন নিয়ম মাফিক সব হচ্ছে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মহাতাব হোসেন জানান, আমি মাদ্রাসার নিয়োগে অনিয়মের কথা শুনেছি।নিয়োগে অনিয়মের আশ্রয় গ্রহন করা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।এ দিকে যোগ্যতা থাকা সত্বে ও আবেদন করতে না পারায় অনেক প্রার্থী পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশসহ সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার নোটিশ বোর্ড, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।