সাঘাটায় আনসার সদস্যের দাপট দেখিয়ে সরকারি জায়গায় পাকা দোকান ঘর নির্মাণ | Daily Chandni Bazar সাঘাটায় আনসার সদস্যের দাপট দেখিয়ে সরকারি জায়গায় পাকা দোকান ঘর নির্মাণ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৫ মার্চ, ২০২০ ০৫:৪৮
সাঘাটায় আনসার সদস্যের দাপট দেখিয়ে সরকারি জায়গায় পাকা দোকান ঘর নির্মাণ
নুর হোসেন রেইন,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি,সাঘাটাঃ

সাঘাটায় আনসার সদস্যের দাপট দেখিয়ে
সরকারি জায়গায় পাকা দোকান ঘর নির্মাণ

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের সুজালপুর গ্রামের,মোঃ আজিজার রহমানের ছেলে মোঃ আরিফ মিয়া। আনসার সদস্যের দাপট দেখিয়ে, সরকারি জায়গা বে-দখল দিয়ে, সেখানে ছাদ পাকা দোকানঘর নির্মাণ করেছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার সুজালপুর বাজারে সুইচ গেট সংলগ্ন সরকারি নদীর  জায়গা দখল করে। সেখানে একটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেন। শুধু তাই নয় নদীর দুই ফুট জায়গা দখল করে একটি মার্কেট নির্মাণ করেছে। যা ব্যয় হয়েছে  প্রায় ২ কোটি টাকার মতো।সাধারণ একজন আনসার সদস্য হয়ে, এত টাকা ব্যয়ে মার্কেট নির্মাণ করায়, এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে এ নিয়ে এলাকার লোকজন কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। উক্ত আরিফ মিয়া, ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে, গত ৩ বছর ধরে সাধারণ আনসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মাত্র ১৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে বড় মার্কেট নির্মাণ করায়। এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় তহিদুল ইসলাম বলেন, দোকান ঘরটি সরকারি জায়গার মধ্যে।

আনসার সদস্যের পিতা আজিজার রহমান বলেন, ৭ শতাংশ জমি মেপে মার্কেট ও দোকান ঘর নির্মাণ করেছি। সরকার জমি পাওনা হলে দেওয়া হবে।
মুঠোফোনে আনসার সদস্য আরিফ মিয়া জনান, আনসার সদস্যের দাপট দেখাইনি। জমি বিক্রি করে এ মার্কেট করেছি। উল্লেখ্য, এছাড়া ওই স্থানে সুজালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করেছে। স্থানীয় কতিপয় ব্যাক্তিরা।তারা ওই স্থানে দোকান ঘড় নির্মান করায়,স্কুল পড়ুয়া ছাএ-ছাএীদের যাতায়াতের পথ বিঘ্ন সহ পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে। দখলদার আশরাফুল,আনিছুর,খোকনসহ ১২জনকে তাদের দোকান ও ব্যাবসা প্রতিষ্টানের মালামাল সরে নেওয়ার জন্য পএ মারফত জানানো হয়েছে।এতে তারা কোন সারা না দিয়ে দাপটের সাথে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে ইতিপূর্বে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন সাঘাটা উপজেলা নিবাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছিলেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার শাকিল আহমেদ বলেন,সরকারি জমিতে ঘড় উঠালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।