ডিমলা শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অদক্ষ নার্স ও আয়ার মাধ্যমে শিশুর মৃত্যু। | Daily Chandni Bazar ডিমলা শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অদক্ষ নার্স ও আয়ার মাধ্যমে শিশুর মৃত্যু। | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০২০ ০৬:১৫
ডিমলা শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অদক্ষ নার্স ও আয়ার মাধ্যমে শিশুর মৃত্যু।
মোঃ বাদশা সেকেন্দার, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি :

ডিমলা শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অদক্ষ নার্স  ও আয়ার মাধ্যমে শিশুর মৃত্যু।

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তার না থাকায় ক্লিনিকের আয়ার এবং অদক্ষ নার্সের মাধ্যমে প্রসব করায় শিশুর মৃত্যু ঘটে। জানা যায় দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা শহর আলীর কন্যা শিউলী আক্তারের সাথে পশ্চিম খড়িবাড়ী গ্রামের আনছার আলীর পুত্র সোহেল রানার সহিত বিগত দুই বৎসর পূর্বে বিবাহ হয়। শিউলী আক্তার অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ায় গত ১০ মার্চ সকাল ৯টায় সময় সন্তান প্রসবের প্রচন্ড ব্যথা শুরু হলে তার স্বামী সোহেল রানা, শ্বাশুড়ী ফরিদা এবং ফুফু রোকেয়া বেমকে সাথে লইয়া শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আসিলে উক্ত ক্লিনিকের মালিক মতিয়ার রহমান খন্দকার তাড়াতাড়ি ক্লিনিকের ভিতরে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারবিহীন অবস্থায় ইনজেকশন ও স্যালাইন পুশ করে সেখানকার নার্স ও আয়ার মাধ্যমে শেফালী আক্তারে পেটে প্রচন্ড চাপ দিয়ে বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা কালে বাচ্চাটি মায়ের গর্ভেই মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লইয়া যাওয়ার জন্য চাপ দিয়ে এ্যাম্বুলেসের মাধ্যমে রংপুরের উদ্দেশ্য যাওয়ার পথেই বাচ্চাটি মারা গেছে। অপর দিকে  বাচ্চাটি দাফন করার পরে ঐ দিন রাত ১২টায় শিউলী বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষনন শুরু হইলে তাৎক্ষনিক ডিমলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করাইলে সেখানকার নার্স ও ডাক্তার চেকআপ করে দেখে জরায়ুর মুখ কাটা। পরবর্তীতে চিকিৎসক সেখানে ১১টি সেলাই করেন। বর্তমানে শিউলী আক্তার মরণাপন্ন অবস্থায় ডিমলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ব্যাপারে শিউলীর পিতা শহর আলী ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করিলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিমলা থানার এস.আই আবুল কালাম সঙ্গীয় ফোস সহ ঘটনাস্থল তদন্তকালে সংবাদকর্মী জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান বিষয়টি তদন্তধীন অবস্থায় আছে। ঘটনাটি স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতি নেতারা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। শিউলীর বাবাকে ক্লিনিকের মালিক বলেন তুমি আমার কিছুই করতে পারবে না টাকা দিয়ে সব কিছু করা সম্ভব তোমার মেয়ের একটি শিশু বাচ্চাকে মারলে আমার কিছুই হবে না তাই শিউলী আক্তারের পরিবারবর্গ শিশু হত্যার বিচার চেয়েছেন। সংবাদকর্মীরা ক্লিনিকের মালিক ও ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে চাহিলে তারা কথা না বলে ক্লিনিক হইতে বাহির হইয়া চলে যায়।