বগুড়ায় করোনা আতঙ্ক যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি সচেতনতাও বাড়ছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন ও সামাজিত সাংস্কৃতিক সংগঠনও করোনা ভারাস বিষয়ে সচেতন থাকতে লিফলেট বিতরণ করছে। এবার বগুড়া জেলা পুলিশ বিভাগ থেকে সদর থানায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস থেকে সতর্কতার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক, বড়বড় প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালতের প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বিপিএম বার জানান, প্রবেশ পথের সামেনে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষ যাতে শুধু অফিসে প্রবেশের জন্য নয়, এই অভ্যাসে যাতে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়ে সে কারণেও এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জনসতেনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। সকল মানুষ যেন সচেতন হয় আমরা সে কারণে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকার পাশাপাশি লিফলেট বিতরণও করা হচ্ছে।
বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যেমন পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলার ১২ টি থানা, পুলিশ লাইন্স, প্রতিটি পুলিশ ফাঁড়ির প্রবেশ পথে সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধুয়ে অফিসের অভ্যন্তরের প্রবেশের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, তার অফিসের প্রধান দুটি ফটকের সামনে সাবান ও পানি রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি অফিসে সামনে হাত ধুয়ে ভেতরে ব্যবস্থা রাখা উচিত। তিনিও প্রতিটি অফিস আদালতে হাত ধুয়ে প্রবেশের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। মানুষকে নিজি থেকে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসের সামনে এই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান জানান, বগুড়া সদর থানায় আগত সেবাগ্রহীতাদের হাত ধুয়ে সেবাগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তা ছাড়া আটক বা গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে বিশেষ যত্ন নেয়া হচ্ছে। আমাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে করোনা ভাইরাস থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।
করোনা ভাইরাসের মত একটি মারাত্মক ভাইরাস থেকে সচেতনতার জন্য বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের আয়োজনে বগুড়ায় বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করার পাশাপাশি সচেতনতা মুলক বিভিন্ন কথামালাও বলা হয়। বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় এই লিফলেট শহরের বিভিন্ন মোড়ে মাড়ে বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না জানান, আমরা সচেতনতার মধ্যে দিয়ে করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে পারি। এজন্য সকলকে ধৈর্য্যরে সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। আমরা বগুড়ায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সহ জেলার সকল পর্যায়ের শিল্প সাহিত্যের মানুষকে সচেতন থাকার এবং করার বিষয়ে আহবান জানিয়েছি।