জলঢাকায় ধর্ষনের ঘটনা ধাঁমাচাপার অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিবৃতি | Daily Chandni Bazar জলঢাকায় ধর্ষনের ঘটনা ধাঁমাচাপার অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিবৃতি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:৪৫
জলঢাকায় ধর্ষনের ঘটনা ধাঁমাচাপার অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিবৃতি
আল ইকরাম বিপ্লব জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

জলঢাকায় ধর্ষনের ঘটনা ধাঁমাচাপার অভিযোগ
থেকে নিজেকে বাঁচাতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিবৃতি

নীলফামারীর জলঢাকায় নবম শ্রেনির ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করেছে একই গ্রামের জনি হোসেন জয় নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। ভুক্তভোগী ছাত্রী, উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ড কালকেওট গ্রামের রিক্সা চালক ছাইফুল ইসলাম ওরফে ছয়ফলের মেয়ে। এলাকার পাশাপাশী বসতবাড়ি হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্ক একবছর যেতে না যেতেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক মেলামেশায় অসুস্থ্য হলে তার গর্ভে দুই মাসের সন্তান আছে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী ছাত্রী এবং তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই মাসের অন্তসত্তা হলে বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়িতে যায়। ছেলে নয়, ছেলের বাবার সাথে বিয়ে দিয়ে সতিন করে রাখবে বলে গালমন্দ করে এবং ঘর থেকে বের করে দেয়, ছেলের মা। পরে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুকুম আলী খাঁন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার কথা বলে তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়।
এ ঘটনায় গত ২৭ মার্চ শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী ও ধর্ষকের পরিবারকে নিয়ে স্থানীয় পাঠানপাড়া বাজারে সালিশ বসে। জয় কালকেওট চৌধুরীর হাটের হাবিবুর রহমান ওরফে সুদারূ হাবীবের ছেলে। ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মোটা অর্থের লেনদেন হয় এবং সালিশী অনুস্টানে ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবারকে আগে স্বাক্ষর দিয়ে জমানো ১ লক্ষ টাকা নিতে বলে চেয়ারম্যান হুকুম আলী। এতে রাজি না হলে, চেয়ারম্যান ও তার লোকজন বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়। আর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার কয়েকদিন পর গোপন সংবাদ পেয়ে হাজির হয় বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মী। সরেজমিনে জানা যায়, সালিশের চারদিন পাড় হলেও জড়িমানার এক লক্ষ টাকা রয়ে যায় চেয়ারম্যানের পকেটে, ভক্তভোগীর পরিবার বলছে সালিশের নামে ছলচাতুরী করছে মাতব্বররা। আর এঘটনায় দীর্ঘদিন অতিক্রম হওয়ার পর জলঢাকা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, ধর্ষিতার বাবা ছাইফুল ইসলাম। এতে একজনের নাম ও সালিশী বিবরণ তুলে ধরে অভিযোগ করা হয়। যার ফলে রবিবার (০৫ এপ্রিল) চেয়ারম্যান হুকুম আলী, বাল্যবিবাহের অজুহাত দেখিয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করার ক্ষোভ জানিয়েছে সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় সচেতন মহল। সাইফুল ইসলাম জানান, বাল্যবিয়ে যদি দিতাম, কেন চেয়ারম্যান আমাকে স্বাক্ষর দিয়ে একলাখ টাকা নিতে বলে। থানায় অভিযোগ দেয়ায় তার লোকজন বিভিন্ন ভয়ভীতি ও দেখাচ্ছে। অভিযোগকারী বলেন, ধর্ষনের ঘটনা ধাঁমাচাপা দেয়ার মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে ইউপি চেয়ারম্যানের মিথ্যে বিবৃতি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান এঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, আজ রাতেই মামলা রেকর্ড করবো।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন