শেরপুর পৌড় শহরকে সবুজায়নের নগরীতে রুপান্তরের স্বপ্ন তারিকুল ইসলাম তারেক এর | Daily Chandni Bazar শেরপুর পৌড় শহরকে সবুজায়নের নগরীতে রুপান্তরের স্বপ্ন তারিকুল ইসলাম তারেক এর | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৫:৫১
শেরপুর পৌড় শহরকে সবুজায়নের নগরীতে রুপান্তরের স্বপ্ন তারিকুল ইসলাম তারেক এর
নিজস্ব প্রতিবেদক

শেরপুর পৌড় শহরকে সবুজায়নের নগরীতে রুপান্তরের স্বপ্ন তারিকুল ইসলাম তারেক এর

৭১ পরবর্তী সময়ে বগুড়ার মাটিতে জন্ম নেয়া মুজিব আদর্শের সৈনিক তারিকুল ইসলাম তারেক। কিশোর বয়স থেকেই মুজিব আদর্শকে বুকে ধারন করে বেড়ে ওঠা ছেলেটি ৮৮ সালের ভয়াবহ বন‍্যায় মানব সেবায় অত্মনিয়োগ করেন অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র থেকেই। ৯০ এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে জয় বাংলা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রেখেছে রাজপথের স্লোগান মাস্টার তারেক। গভীর রাতে স্বৈরাচার নিপাত যাক''গণতন্ত্র মুক্তি পাক স্লোগান দেওয়ালে লিখতে গিয়ে শেরপুর পৌড় এলাকায় হাবিলদার রহিম তাকে থানায় আটক করেন। একরাত হাজতবাস অতপর সকালে মজিবুর রহমান মজনু,গোবিন্দ কুমার বাগচী,রবিউল ইসলাম আশু'র মুচলেকায় থানা থেকে ছাড়া পান ক‍্যান্ট পাবলিকের ১ম বর্ষের ছাএ তারেক। ১৯৯২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ‍্যায়নের সুযোগ লাভ করেন তিনি।

ছাত্রলীগের জন্য সময়টা ছিল তখন বৈরী ও প্রতিকুল। অশীম সাহসীকতা ও মুজিবের সপ্প বুকে লালন করে তৎকালীন সময়ে তিনি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় ছাএলীগ রাজনীতিতে যুক্তহন।নব্বইয়ের দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কট্টর জামায়াতপন্থী উপাচার্য  ইউসুফ আলীর সময়ে ক্যাম্পাসে প্রশাসনিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পায় ছাএ শিবির। ১৯৯২ সালে শিবির ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের প্রায় প্রতিটি কক্ষেই গান পাউডার দিয়ে আগুন লাগিয়ে পুরো হলকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। হলের ছাত্ররা তখন কোনো মতে পালিয়ে বেঁচেছিল।

এ ঘটনার পরের বছর ১৯৯৩ সালে শিবির ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলে রাতের আঁধারে পাকহানাদার বাহিনীর মত অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ অসংখ্য সাধারণ ছাত্রকে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরবর্তী সময়ে ছাত্রনেতা শেখর, শফিক দের নেতৃত্বে হাজারো তারেক সু-সংগঠিত হয়ে 

ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সন্মুখ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে শিবির নেতা নোমানী নিহত হওয়ার প্রতিশোধে মরিয়া হয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যার ঘটনা সহ অন্তত ৮ ছাত্রের পায়ের রগ কাটার অভিযোগ ওঠে ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে। এরপর ছাএলীগের কঠোর আন্দলনের মধ্যে দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হয় ছাত্র শিবির। 

নানা প্রতিকুলতা, বৈরি পরিবেশ ও লড়াই-সংগ্রামের মধ্যেদিয়ে মতিহার চত্বরে বেড়ে ওঠা সেই মেধাবী ছাত্র তারেক হয়ে ওঠেন ছাএলীগের পরিক্ষিত ছাএনেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শেষে স্থানীয় রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। তৎকালীন সময়ে শেরপুর উপজেলা ছাএলীগের সভাপতি প্রয়াত মনোয়ার রহমান হাবলু ও তারিকুল ইসলাম তারেক কে সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি হাবলু'র অকাল প্রয়ানে শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিয়ে একটি সফল সন্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি উপহার দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বগুড়া'র রাজনীতিতে যুক্ত হন জনাব তারিকুল ইসলাম তারেক।

২০০১ সালে জোট সরকার আমলে, জামায়াতের দুজন সদস্য সেই সরকারের কেবিনেট মন্ত্রী হিসেবে উপহার দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। বাংলার মাটিতে নিজামী-মুজাহিদরা তাঁদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা হাঁকিয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াতেন। জোট সরকারের শাসন আমলের প্রথমের দিকে প্রকারান্তরে তাঁদের মাস্তান বাহিনী ও দলীয় ক্যাডাররা সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রচণ্ড হেনস্থা করেছিলো। দুর্নীতি, হাওয়াভবন, স্বজনপ্রীতি, বাংলাভাই সহ নানা কু-কীর্তি এ আমলে সর্বক্ষেত্রে খালি চোখে দেখতে পেতো সাধারণ মানুষ ! ১০ ট্রাক অস্ত্র, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে‍্য ২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট জনসভায় গ্রেনেড হামলা ! আইভী রহমান সহ ২৪টি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে পরে ।

২০০৫ সালে সিরিজ বোমা হামলা ! উগ্রপন্থীর মুখে স্লোগান‘‘আমরা হব তালেবান বাংলা হবে আফগান’’ উদ‍্যত পরিস্থিতিতে জননেত্রী অগ্নিকন‍্য শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে খালেদা বিরোধী আন্দোলন,প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সংবিধান পরিপন্থী তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানে উপবিষ্ট হওয়া সহ সেনাপরিবেষ্টিত সরকারের ১/১১ এর বিরুদ্ধে সারা দেশের ন‍্যায় প্রচীন বাংলার রাজধানী বগুড়ার মাটিতে সাগর মোহন এর নেতৃত্বে তৎকালীন সরকার বিরোধী আন্দলনে বারবার পুলিশের নির্যাতনের শিক্বার হন তারেক।

উওরজনপদের প্রবেশ দ্বার শেরপুর উপজেলায় আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষক ও শ্রমিক লীগের সাথে যথাযথ সম্বনয়ে দলের দুঃসময়ে অর্থ,শ্রম,মেধা দিয়ে রাজপথে লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে প্রশংসনীয় সফল ভূমিকা রেখেছেন তারিকুল ইসলাম তারেক। ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর সম্পন্ন হল একটি বহুল কাঙ্ক্ষিত, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে বগুড়া-০৫ আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনা মোননীত প্রার্থী হাবিবর রহমানের বিজয় নিশ্চিত করতে অক্লান্ত প্ররিশ্রম ও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন তারিকুল ইসলাম। রাজনৈতিক দক্ষতা ও দূরদর্শীতায় তিনি জেলা যুবলীগ কর্তীক শেরপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম অহ্বায়ক মনোনীত হন। বিভিন্ন মানব কল‍্যানময় কাজে অংশ নিয়ে উপজেলার সুবসমাজকে সু-সংগঠিত করে অল্প সময়ে তিনি যুবলীগের এই ইউনিটের আহ্বায়কের দায়িত্ব লাভ করেন।

একটি সফল সন্মেলনের মাধ্যমে তিনি শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি'র দায়িত্ব পালন করছেন। বগুড়া জেলা যুবলীগের ১২ টি উপজেলা ইউনিট সভাপতির মধ্যে তিনি দক্ষ,চৌকাস ও কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ হিসেবে ইতিমধ্যে আত্মপ্রকাশ করেছেন। শেরপুর পৌড় এলাকায় একাধিক ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী এবং ক্রীড়া সংগঠনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি পৌরবাসীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও দুর্যোগে পরোক্ষ এবং প্রত্যাক্ষেভাবে আর্থিক অনুদান ও সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছেন। ব‍্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক, একজন সফল সচ্ছ ব‍্যবসায়ী। শেরপুর পৌড়বাসীর জন্য তিনি কাজ করে যেতে চান শেরপুর পৌড় শহরকে সবুজায়নের নগরীতে রুপান্তর করা তার সপ্ন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন