মানবেতর জীবন কাটছে অসহায় হাছিনা বেওয়ার | Daily Chandni Bazar মানবেতর জীবন কাটছে অসহায় হাছিনা বেওয়ার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৬:০১
মানবেতর জীবন কাটছে অসহায় হাছিনা বেওয়ার
মশিউর রহমান,সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি

মানবেতর জীবন কাটছে অসহায় হাছিনা বেওয়ার

কেউ কিছু না দিলে চুলায় আগুন জ্বলে না অসহায় হাছিনা বেওয়ার। এই বয়সে নিজেকেই রান্না করে খেতে হয়। ৪০ বছর আগে স্বামী মারা যান। ছোট ছেলে মারা যান ১০ বছর আগে। বড় দুই ছেলের অভাবে সংসার দিনাজপুর জেলার নবানগঞ্জ বিয়ে করে শশুড় বাড়ীতেই পরিবার নিয়ে থাকেন। এক মেয়ে তার বিয়ে হয় দিনাজপুর জেলায়। সবার কাছে বোঝা হয়ে গেছে হাছিনা বেওয়া তাই নিজ বাড়ীতে ছোট একটি টিনসেট ঘরে খেয়ে না খেয়ে পরে থাকেন। যখন ক্ষুদা পায় অন্যের বাড়ীতে চলে যান,কেউ সাহায্য না করলে সেই দিন পেটে ভাত যায় না তার। এমন চিত্র উঠে আসে সাংবাদিকের ক্যামেরায়। 

সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে কথা  বলছিলাম গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমর পুর ইউনিয়নের কিশামত দূর্গাপুর গ্রামের  মৃত্যু খবির উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. হাছিনা বেওয়ার(৮০) সাথে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কথা বলতেই তিনি বলেন, করোনা বুঝিনা বাবা, কিখামো বাবা যার কাছে যাই তাই খালি কয় দেশত আকাল পরছে মহামারী দেখাদিছে, এখন কি খায়া বাচে থাকমো বাবা কেউ তো কিছু দিবার যায় চায় না এই কথা বলে কান্নাকাটি  শুরু করেন। তিনি বাঁচার আকুতি জানিয়ে বলেন, সবাই খালি বাড়ীত থাকপের কয় কেউ কিছু দেয় না। কি খায়া বাচি বাবা। অন্যের কাছে সাহায্যে নিয়ে দিন চলে তার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে।
 করোনাভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ যখন ঘরে থাকছে তখন জীবন বাঁচার তাগিদে হাছিনা বেওয়া ঘুরছে মানুষের দ্বারে দ্বারে।

এক বেলা খাওয়ার আকুতি জানাচ্ছে সবার কাছে। তবুও মিলছে না কোন সাড়া। আশিরোর্ধ্ব বিধবা হাছিনা বেওয়ার ভাগ্যে জোটেনি সরকারি কোন সহযোগিতা। এমনকি বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডও মেলেনি। হাছিনা বেওয়ার  প্রতিবেশী খাজা মিয়া বলেন, হাছিনা বেওয়ার  এ পর্যন্ত কোন সরকারি  সহযোগিতা পাননি। ছোট ছেলে মারা গেছে বড় দুই ছেলে হতদরিদ্র তারা সবাই পরিবার নিয়ে শশুড় বাড়ীতে থাকে ।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন