রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার একটি মানুষও না খেয়ে থাকবেনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রদানকৃত ত্রাণ সামগ্রী কোরনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র ও অসহায় প্রতিটি পরিবারে মধ্যে পর্যায়ক্রমে পৌঁছে দেয়া হবে।বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওহাটা কলেজ মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় পবা-মোহনপুরের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন এই প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, সারাবিশ্ব বর্তমানে লকডাউন হয়ে পড়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে হাজার লোক আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে। এদিক থেকে বাংলাদেশ এখনো ভাল আছে।
তিনি আরো বলেন, এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও জনগণ যেন এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে না পারে তার জন্য সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ এবং জনসমাগম এড়াতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট ছাড়া সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে কর্মক্ষম এই মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আর এই কর্মহীন মানুষের মুখে দু’বেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানান আয়েন উদ্দিন।
তিনি বলেন, নওহাটা পৌরসভায় সরকারী ভাবে এ পর্যন্ত ২৫০০টি এবং ব্যক্তিগতভাবে ২৭০০টি এবং পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে ১৫০০টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বুধবার এবং বৃহস্পতিবার আরো ১৪০০টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ প্রদান করা হবে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি। করোনাভাইরাসের মহামারী থেকে রক্ষা পেতে হলে ঘরে থাকা এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কোন বিকল্প নাই উল্লেখ করে এমপি সকল মানুষকে সরকারী নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকার আহবান জানান।
সেইসাথে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুরসহ বেশী আক্রান্ত জেলা থেকে যদি কেউ বাড়িতে আসে তাহলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর এবং হোমকোয়ারেন্টাইন মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। বক্তব্য শেষে উপস্থিত এক থেকে ৫নং ওয়ার্ডের জনগণের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল তুলে দেন এমপি আয়েন উদ্দিন।
নওহাটা পৌরসভার আয়োজনে বিতরণের সময় পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, নওহাটা পৌর মেয়র আলহাজ্ব শেখ মকবুল হোসেন, পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হায়াত, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ নাজিমুদ্দিন, কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক, সাজ্জাদ ও আজিজুল হক অন্যান্য কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন