তাড়াশে করোনা এড়াতে কৃষি অধিদপ্তরের বিশেষ নজরদারীতে ধান কাটছে কৃষি শ্রমিক | Daily Chandni Bazar তাড়াশে করোনা এড়াতে কৃষি অধিদপ্তরের বিশেষ নজরদারীতে ধান কাটছে কৃষি শ্রমিক | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৫:৩৯
তাড়াশে করোনা এড়াতে কৃষি অধিদপ্তরের বিশেষ নজরদারীতে ধান কাটছে কৃষি শ্রমিক
মনিরুল তাড়াশ সিরাজগঞ্জ :

তাড়াশে করোনা এড়াতে কৃষি অধিদপ্তরের বিশেষ নজরদারীতে ধান কাটছে কৃষি শ্রমিক

খাদ্যশষ্য ভান্ডারখ্যাত চলনবিলের তাড়াশের প্রধান আবাদ বোরো ধান কাটা শুরু হওয়ায় দক্ষিণ থেকে উত্তরে ক্ষ্যাপ মারতে (ধান কাটতে) আসছেন শত শত ধান কাটা কৃষি শ্রমিকেরা। ইতিমধ্যে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে করোনা পরিস্থিতি করানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সর্বপরি নিয়ম মেনে ধান কাটার জন্য শ্রমিকদের বিশেষভাবে পরামর্শ দেয়াও হচ্ছে কৃষি অধিদপ্তর থেকে ।
তাড়াশ কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এ বছর ২২ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে।
এদিকে কাটা ধানের বাম্পার ফলনও হচ্ছে স্থানীয়রা আরো বলেন, বিঘা প্রতি প্রকারভেদে ২৪-২৮ মণ হারে ফলন হচ্ছে।
কিন্ত সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার কারণে চলমান লকডাউন থাকায় ধান কাটার শ্রমিকদের আসা , থাকা খাওয়া নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা থাকলেও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের দিক নিদের্শনায় যাতে ধান কাটা ভরা মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকট না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে সার্বক্ষনিক ।
এরই মধ্যে পাবনার বেড়া, সাঁথিয়া, সুজানগর, ফরিদপুর , নাকালিয়া বেড়া, চাটমোহর, রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর , বেলকুচি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে ক্ষ্যাপ মারতে (ধান কাটতে ) চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তারা অস্থায়ী আস্থানা গড়ছেন।
অপরদিকে করোনা কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এ বছর বোরো ধান কাটতে দূর-দূরন্ত থেকে আসা কৃষি শ্রমিকদের নিয়ে সর্তকতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুলন্নাহার লুনা জানান, তাড়াশের হাজার হাজার কৃষকের ধান কাটতে আসা দূর -দূরান্তের কৃষি শ্রমিকেরা রাস্তায় আসা যাওয়ায় ও এলাকায় অবস্থানের বিষয়ে কোন বাঁধার সন্মুখীন যাতে না হয় সেদিকে তারা নজর রাখছেন।
তবে তাদেরকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে করোনাকালীন সময়ে সচেতনার সাথে কাজ করার জন্য পরামর্শ দিতে ওয়ার্ড পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কৃষি শ্রমিকদের এলাকায় অবস্থানকালীন স্থানীয়দের থেকে তাদের আবাস দুরে রাখতে ও থাকতে বলা হচ্ছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন