শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চায় জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি | Daily Chandni Bazar শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চায় জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০২০ ১০:৫৪
শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চায় জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি
আল ইকরাম বিপ্লব জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চায় জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি

নীলফামারীর জলঢাকায় সাংবাদিকদের প্রাণ প্রিয় সংগঠন জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বহিষ্কারের সংবাদটি সৃষ্টি করেছে এক চাঞ্চল্যময়কর ঘটনার। সূত্রটি জানিয়েছে সাংবাদিকদের ভোটে একজন নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মহুর্তেই বহিষ্কার হয়ে গেলে কেন? সেটা কোন নীতিমালায় পড়ে এমন প্রশ্ন বিভিন্ন সাংবাদিক মহল সহ জনমনে। রবিউল ইসলাম রাজ এ প্রতিবেদককে জানান,আমিও রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য।

আমাকেও কোন রকম কারন দর্শানো নোটিশ ছাড়াই নাকী আমার নাম কেটে দেয়া হয়েছে। শুধু রাজই নয়,এভাবে সংগঠনটি'র সাবেক সাধারন সম্পাদক বাদশা শাহাজাহান,সাংগঠনিক সম্পাদক রাফিন,সদস্য আজম বাদশা সাবু,গোলাম রব্বানী,শাহীন,জলঢাকা নিউজ এর বজলুর রশিদ সহ অনেকের বিরুদ্ধে কারন দর্শানো নোটিশ ছাড়াই সংগঠন থেকে অব্যহতি দিয়েছেন সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় রায়। জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবীর লেলিন বলেন,এমপি মহোদয় টিআর বরাদ্দ দিয়েছিলেন অফিস মেরামতের জন্য। কিন্তু তা না করে টিআর প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন তারা। এতে আমি প্রতিবাদ করলে সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়ে সদস্যদের জরুরি মিটিংয়ের কথা বলে কৌশলে স্বাক্ষর নেয়। পরে তা রেজুলেশনে পরিনত করে।

তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি'র মেয়াদ উত্তীর্ণ। নিজ পদ হারানোর ভয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া করতে দেয়নি ওই সভাপতি। তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছর নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি হওয়ার কথা। দু'বছর মেয়াদ পর্যন্ত একজন সভাপতি/সম্পাদক থাকতে পারবে না। বর্তমান সভাপতির দুই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। কী করে আবার এ কমিটির আহবায়ক হন এটাই আমার প্রশ্ন। এখন প্রশ্ন হলো কারন দর্শানো নোটিশ ছাড়া গঠনতন্ত্রের নিয়মের তোয়াক্কা না করে স্বৈরাচারীর মনোভাব দেখিয়ে আমার মত ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে সংগঠন থেকে বাদ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন তিনি।

এ খবরটি বিভিন্ন অনলাইন সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। যাতে করে আমার সম্মানের হানি হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি এমন ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।  লেলিন জানায়,যেখানে আমাদের সংগঠনটি জেলা স্বাক্ষরিত ১৮ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র সাতজনকে ম্যানেজ করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার উপায় বের করেছে। কোর্ট খুললে আমি এই সভাপতির নামে প্রচলিত আইনে প্রতারনার দায়ে মামলা করবো। এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক মানিক লাল দত্ত বলেন, গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কারন দর্শানো নোটিশ ছাড়াই একজন নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করেছে। তা আমার বোধগম্য নয়। জানতে পেরেছি অন্যদের বেলায় নাকী এমন ঘটনা ঘটেছে। এমনটি হলে বিষয়টি দুঃখজনক।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন