ফুলবাড়ীতে ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যপক ক্ষতি | Daily Chandni Bazar ফুলবাড়ীতে ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যপক ক্ষতি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২০ ১৯:৪৪
ফুলবাড়ীতে ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যপক ক্ষতি
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

ফুলবাড়ীতে  ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যপক ক্ষতি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সুপার সাইক্লোন আম্ফান পরবর্তী ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী ও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নে ক্ষেতের পাট, পাকা ধান, সবজিসহ সবধরণের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি দেখা গেছে।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক তৈয়ব আলী, রহিম, তপন চন্দ্র জানান, শীলাবৃষ্টিতে তাদের পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই ইউনিয়নের কৃষক সুরেশ, আলম ও শফি বলেন, শীলাবৃষ্টিতে তাদের ক্ষেতের পাকা ধান ঝড়ে গেছে। ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের কৃষক কার্তিক চন্দ্র সরকার জানান, শীলাবৃষ্টিতে তার তিন বিঘা ক্ষেতের পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শিমুলবাড়ির ছড়ার দোলা ও চাতরার দোলায় বৃষ্টির পানি জমে অনেক পাকা ধানের ক্ষেত তলিয়ে আছে।

এছাড়াও গত সাত দিনের ব্যাপক বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চলে চলতি মৌসুমের উঠতি ইরি-বোরো ধান, পাট, ভুট্টাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি। বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এসব ফসলের। কোথাও হেলে পড়েছে আমের গাছ, পড়ে গেছে আম। কৃষক কিছু ধান কাটলেও বৃষ্টির কারণে মারাই করতে পারছে না। এসব ধান দীর্ঘদিন বৃষ্টিতে থাকায় কৃষকের উঠানেই ধান থেকে গাছ বের হয়ে নষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র জানায়, গত ২০ মে রাত থেকে ২৬ মে বিকাল পর্যন্ত ৭ দিনের গড় বৃষ্টিপাত ৩০ দশমিক ৯৭ মিলিমিটার। এছাড়াও জেলার কয়েক জায়গায় বৃষ্টিপাতের হার ছিলো অনেক বেশী। এর সাথে ছিলো ঝড়ো হাওয়া।  

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদ জানান, ঝড়োবাতাস ও শীলাবৃষ্টিতে ৬০ হেক্টর জমির পাট ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে ধানক্ষেতও ক্ষতি হয়েছে। তবে এ ক্ষতি পুশিয়ে উঠবে। পানি দ্রুত নেমে গেলে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। আকাশ ভালো হওয়ার সাথে সাথেই কৃষকদেরকে পাকা ধান কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান উপজেলায় এবার ১০ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে ইরি বোরো ধান। যা ১১ মে থেকে কাটা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত ৭০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩০ ভাগ ধান। এসবে মধ্যে বেশির ভাগ রয়েছে বিআর ২৯ এবং কিছু উচ্চ ফলনশীল ধান। পাটের আবাদ হয়েছে ৮২০ হেক্টর জমিতে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন