বগুড়ায় যমুনায় পানি কমছে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত | Daily Chandni Bazar বগুড়ায় যমুনায় পানি কমছে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২ জুলাই, ২০২০ ১৯:৩৩
বগুড়ায় যমুনায় পানি কমছে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
ষ্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ায় যমুনায় পানি কমছে
বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় বন্যার পানি লোকালয় থেকে তেমন কমেনি। বৃহস্পতিবার তিনটি উপজেলার যমুনা নদী এলাকায় ফসলের ক্ষেতে ও বসতবাড়িতে পানি জমে আছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যমুনা নদীর মথুরাপারা পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার পানি কমে এখন বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যান্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ বাধের স্থানে সিসি ব্লক দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। বগুড়া জেলা ত্রান ও পুণর্র্বাসন কার্যালয় থেকে ত্রান সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলের বাড়ি ঘর, ফসল এখন পানির নিচে আছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নেয়া  চরাঞ্চলের মানুষ এখনও বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি। বাাঁধের ওপর টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে কোনমতে জীবন ধারণ করছে।

বগুড়া জেলা ত্রান ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, জেলার তিনটি উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার যমুনা তীরবর্তী চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার ৩শ’ মানুষ ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। তিনটি উপজেলার ৮৮ টি গ্রামে পানি এসেছে। যমুনা সংলগ্ন তিন উপজেলায় আউশ ধান, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসলে ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ১৫ হাজার পরিবারের জন্য ৬০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ দেয়া হযেছে। এ ছাড়া শুকনা খাবার ক্রয়ের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হযেছে।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আযাজ জানান, ধুনট উপজেলার ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নে ১২ টি গ্রামে যমুনার বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এই ইউনিয়নের আউশ ধান, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসলে ক্ষতি হয়েছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সারিযাকান্দি পয়েন্টে বন্যার পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তত আছে। জেলা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ নতুন করে ১৫ টি ল্যাট্রিন ও ১৫ টিউবওয়েল স্থপান করেছে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন