গাইবান্ধায় দ্বিতীয় দফার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি | Daily Chandni Bazar গাইবান্ধায় দ্বিতীয় দফার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০২০ ১৯:২০
গাইবান্ধায় দ্বিতীয় দফার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি
৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট
ষ্টাফ রিপোর্টার

গাইবান্ধায় দ্বিতীয় দফার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি

টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে গাইবান্ধা ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১২৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত  ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১২৩ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৭৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়ন পুনরায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকার প্রায় দুই লক্ষ মানুষ এখন পানিবন্দী।
 
ইতোপূর্বে যেসব এলাকা থেকে পানি নেমে গিয়েছিল ওইসব এলাকা আবার নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ফলে ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় পানিবন্দী পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। শুকনো খাবার ও জ্বালানির অভাবে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছে বন্যার্ত মানুষ। অনেকে ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যন্ত  হয়ে পড়েছে। ৪ হাজার ৮৬ হেক্টর জমির পাট, আমন বীজতলা, আউশ ধান ও শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
 
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসত আব্দুল মতিন সাংবাদিকদের জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫ উপজেলার বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য নতুন করে ১শ’ মে. টন চাল, ৪ লাখ টাকা, ১ হাজার ৮শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে যা বিতরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, বন্যার পানি আরও দুদিন বাড়তে পারে। এতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১২৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে জরুরী প্রতিরক্ষামূলক কাজ শুরু করা হয়েছে।
বাঁধের অবস্থা এখনও ভালো আছে। জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, পাঁচটি উপজেলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৬ হেক্টর জমির পাট, আমন বীজতলা, আউশ ধান ও শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এদিকে পানিবন্দী পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। 
 
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন