বাবার জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ৪ | Daily Chandni Bazar বাবার জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ৪ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০২০ ০৮:২০
বাবার জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ৪
অনলাইন ডেস্ক

বাবার জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ৪

ফরিদপুরে অসুস্থ বাবার জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোরী। গত ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার আটদিন পর ওই কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি হলে বিষয়টি পুলিশের গোচরে আসে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কিশোরীর বাবা কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার ধর্ষককে আটক করে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলাম জানান, গত বুধবার (১৯ আগস্ট) ওই কিশোরী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে জঘন্য এ ঘটনাটি পুলিশের গোচরে আসে। তিনি জানান, ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চার তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- শহরের গোয়ালচামট মোল্লাবাড়ী সড়ক বিহারী কলোনি এলাকার আসিবুর রহমান (২৪), ইমরান শেখ (২৪), পাপন শেখ (২৩) ও নান্নু শেখ (২৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবার তাদের জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে সোপর্দ করা হবে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বর্তমানে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার তাকে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কিশোরীর বাবা একজন অসুস্থ ব্যক্তি। গত ১১ আগস্ট মাগরিবের নামাজের পর ওই কিশোরী তার বাবার জন্য শহরের গোয়ালচামট মহল্লার লাক্সারি হোটেল সংলগ্ন এলাকায় ওষুধ কিনতে যায়। ওই সময় পাঁচ তরুণ তাকে জাপটে ধরে মুখ আটকে শ্রীঅঙ্গন এক নম্বর গলির মাথায় সন্তোষ সাহার বাড়ির পেছনের ভিটায় নিয়ে যায়।

এরপর আসিবুর রহমান ওরফে আপন, ইমরান শেখ ও পাপন শেখ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ কাজে পাহারা দিয়ে তাদের সাহায্য করে একই এলাকার নান্নু শেখ ও মালেক সরদার (২৪)। পরে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শ্রীঅঙ্গন পুকুর পাড়ে রেখে পালিয়ে যায় বখাটেরা।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাই