আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে বাংলা ভাইয়ের সহযোগীর সাথে সখ্যতার অভিযোগ | Daily Chandni Bazar আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে বাংলা ভাইয়ের সহযোগীর সাথে সখ্যতার অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:২৩
আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে বাংলা ভাইয়ের সহযোগীর সাথে সখ্যতার অভিযোগ
ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আব্দুর রহিমের অস্বীকার
ষ্টাফ রিপোর্টার

আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে বাংলা ভাইয়ের সহযোগীর সাথে সখ্যতার অভিযোগ

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলাধীন ৫নং চাঁপাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম আকন্দের বিরুদ্ধে কয়াকুঞ্চিগ্রামের সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের সহযোগী রানা ইসলামের সাথে সখ্যতা করে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে। তবে গ্রামবাসীর ধারণা প্রাণের ভয়ে আব্দুর রহিম আকন্দ বাংলা ভাইয়ের সহযোগীর সাথে সখ্যতা বজায় রেখেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ আব্দুর রহিম কয়াকুঞ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব প্রধানশিক্ষক তার বৈমাত্র ভাই হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণি পাশ হওয়া সত্বেও অষ্টমশ্রেণি পাশের ভুয়া সার্টিফিকেট দাখিল করে পিয়ন পদে চাকুরী গ্রহণ করেন। সরকারি দলের নেতা হবার সুবাদে সে নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত হন না। কিন্তু বেতন ভাতা গ্রহণ করেন।

তার বিরুদ্ধে গত ১৮/১১/২০২০ইং তারিখে বগুড়া প্রেসক্লাবে ওই গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলী প্রামানিকের ছেলে বারী প্রামানিক এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন সহ গ্রামবাসীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। যেহেতু উক্ত আব্দুর রহিমের সাথে বাংলা ভাইয়ের ক্যাডার রানা ইসলামের সখ্যতা রয়েছে এবং আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ার সুবাদে গ্রামবাসী ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। এ সংক্রান্তে ১৯নভেম্বর উক্ত আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে বগুড়া থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হয়।

যদিও পরে আব্দুর রহিম প্রকাশিত ওই সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন। বারী প্রামানিককে সামান্য ঘটনার জেরে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে বলে বারী প্রামানিক নিজে ও গ্রামবাসী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। তবে গ্রামবাসী প্রকাশ্যে আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তবে গোপনে রহিমের অপতৎপরতার বিষয়ে অনেক কথাই গ্রামবাসী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। 

সরেজমিনে গিয়ে কয়াকুঞ্চি, দক্ষিন গোবিন্দপুর, বড়িয়াবার্তা ও বনতইর গ্রাম ঘুরে রানা ইসলাম যে, বাংলা ভাইয়ের সহযোগী ছিল সেটা ওই গ্রামগুলোর জনগণের নিকট থেকে জানা গেছে। সম্প্রতি কয়াকুঞ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের এডহক কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই কমিটিতে সভাপতি পদে হাসান আলী মন্ডল আওয়ামীলীগের নেতা হলেও অভিভাবক সদস্য পদে(উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত) সক্রিয় বিএনপি কর্মী রহিদুল ইসলামের নাম অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় আওয়ামী শিবিরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। 

এব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুর রহিমের ০১৭৪৭-৫৫৭৪৭২ নম্বর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করে বলেন, রানা ইসলাম আমার প্রতিবেশী। আমরা গ্রামের লোকজন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বসবাস করি। রানা ইসলাম বাংলা ভাইয়ের সহযোগী ছিল কি না আমার জানা নাই। বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন প্রসঙ্গে তার কিছুই জানা নেই বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রহিদুল ইসলামের কমিটিতে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে দলের উর্দ্ধতন নেতারা বলতে পারবেন। তিনি আরও জানান, আসন্ন উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ওয়ার্ড কমিটিগুলো গঠন করা হচ্ছে। এ কারণে একটি পক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনকারী আব্দুল বারী প্রামানিক করোনার কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের বিরোধীতা করায় তাকে শুধুমাত্র তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। চাঁপাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন বিশ্বাস মুঠোফোনে জানান, ৯নং ওয়ার্ডে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিরশন করবো। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু মুঠোফোনে জানান, আব্দুর রহিম আমারও আগের আওয়ামীলীগ কর্মী। তবে ওই এলাকায় তার বিরুদ্ধে কি কারণে অভিযোগের উৎপত্তি হয়েছে তা পর্যালোচনা করে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন