শিগগিরই করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে | Daily Chandni Bazar শিগগিরই করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০২১ ১৯:৪১
শিগগিরই করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে
অনলাইন ডেস্ক

শিগগিরই করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সময় উপযোগী এসকল দিকনির্দেশনা উদ্যোগ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। ইতোমধ্যে তিন কোটি  ডোজ করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিগগিরই করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে।

বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন বলে ঘোষণা দেন। টেবিলে উত্থাপপিত প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু’র  প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, যা হতে বাংলাদেশ মুক্ত নয়। তবে শুরু থেকেই আমাদের সরকার সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলার করেছে যার ফলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মৃত্যুর হার এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অধিকতর সাফল্য দেখাতে পেরেছে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনৈতিক পুনুরুদ্ধাদের সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর উদ্ভূত সংকট মোকাবিলা এবং এ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করে অর্থনীতিকে দ্রুত পুনর্গঠন এবং অর্থনীতির গতি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী একটি সামগ্রিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করে। এ চারটি প্রধান কৌশলগত দিক হলো। ১। সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা। এক্ষেত্রে কর্মসৃজনকে প্রাধান্য দেয়া এবং অপ্রয়োজনীয় নিরুৎসাহিত করা। ২। ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে কতিপয় ঋণ সুবিধা প্রবর্তন করা, যাতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত হয় এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুন্ন থাকে। ৩। হতদরিদ্র সাময়িক কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় বৃদ্ধি করা। ৪। বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে এ কৌশলটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যাতে মুদ্রাস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও সামাজিক সুরক্ষা সম্মিলিত ১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়িত হচ্ছে যা জিডিপির ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশের সমান। কোভিড-১৯ মহামারীর উদ্ভূত সঙ্কট মোকাবিলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ স্বল্প মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী একটি সামগ্রিক কর্মপন্থার অধীনে গৃহীত হয়েছে। বিধায় কিছু কিছু প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়ন ২০২১ সালেও চলমান থাকবে। সরকার অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ঘোষিত প্যাকেজের বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং অর্থনীতির ওপর এগুলোর প্রভাব পরীবিক্ষণ করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের অর্থনৈতিক গতি সঞ্চারের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদ এর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার করোনাভাইরাসে মানুষের জীবন ও অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে দেশে করোনাভাইরাস সহ অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারী শুরু থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখাসহ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে ও দক্ষতার সঙ্গে সংকট মোকাবিলা করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে নানাবিধ পদক্ষেপ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সহ অনেক দেশ ও সংস্থা প্রশংসা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভাপতিত্বে ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় কমিটি এবং প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিত্বে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে তিন কোটি  ডোজ করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিগগিরই করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে।