অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সবচেয়ে নিরাপদ: ফ্লোরা | Daily Chandni Bazar অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সবচেয়ে নিরাপদ: ফ্লোরা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০২১ ১৫:৩২
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সবচেয়ে নিরাপদ: ফ্লোরা
অনলাইন ডেস্ক

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সবচেয়ে নিরাপদ: ফ্লোরা

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকা পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ টিকা বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে যে টিকা এনেছে, এটা পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ টিকা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচি শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, পৃথিবীতে করোনার যত টিকা আবিষ্কার হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এ (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা) টিকা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ, এটা প্রমাণিত। যে কোনো টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, মানুষকে সচেতন করতেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলেছি। সুতরাং নির্ভয়ে এ টিকা নিতে পারেন দেশের মানুষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, যখন একজন চিকিৎসক টিকা নেন, তখন তার কমিউনিটি আগ্রহী হয়। একইভাবে যখন একজন সাংবাদিক টিকা নেন, তার কমিউনিটিও আগ্রহী হয়। সব পেশার লোকজন যদি টিকা নেন, তখন তার কমিউনিটির অন্যরাও টিকা নিতে আগ্রহী হবেন।

টিকা নিরাপদ হলে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা নিচ্ছেন না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, আমার মনে হয়, তারা জনগণের কথা চিন্তা করেই পরে টিকা নেবেন। জনগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিচ্ছেন। জনগণের টিকা নেওয়া শেষ হলে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান নেবেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে শিশু ও গর্ভবতী মা ছাড়া সবাই টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা।

কোভিড হওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে টিকা নেওয়া যাবে না বলেও সর্তক করেন ওইদিন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) টিকাদান কেন্দ্রে মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য হিসেবে করোনার টিকা দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলক। সকালে এ কেন্দ্রে প্রথমে টিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, টিকা নেওয়াটা আমার সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত দায়িত্ব। আমাকে দেখে মানুষ আস্থা পাবে ও সাহস পাবে।