গত এক সপ্তাহে রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা সামান্য বাড়লেও কমেছে মৃত্যু, সুস্থতা ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে মৃত্যু ১০ শতাংশ, সুস্থতা ১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং শনাক্ত ১৯ দশমিক ২১ শতাংশ হ্রাস পায়।
চলতি জানুয়ারি মাসের তৃতীয় এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের তুলনায় চতুর্থ এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের পরিসংখ্যানে এ পরিবর্তন দেখা যায়।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (১৭ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত) ৯৭ হাজার ৩৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ৪ হাজার ২৬৩ জন শনাক্ত, ৪ হাজার ১৪৩ জন সুস্থ ও ১২০ জনের মৃত্যু হয়।
চতুর্থ এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (২৪ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত) ৯৮ হাজার ১০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ৩ হাজার ৪৪৪ জন শনাক্ত, ৩ হাজার ৩৯৮ জন সুস্থ ও ১০৮ জনের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নতুন করে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৩ জন। এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ১১১ জনে এবং শনাক্ত রোগী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭০ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২০৪টি ল্যাবরেটরিতে ১১ হাজার ৮৪৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৮৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৭টি।
এদিকে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৩৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৬৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর দশদিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত এ মহামারিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ১১১ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ১৪৩ জন (৭৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ) ও নারী ১ হাজার ৯৬৮ জন (২৪ দশমিক শূন্য ২৬ শতাংশ)।