রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমার সেনাদের ভাবভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে | Daily Chandni Bazar রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমার সেনাদের ভাবভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১২:০১
রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমার সেনাদের ভাবভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে
অনলাইন ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমার সেনাদের ভাবভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি দেশটির সেনাবাহিনীর ভাবভঙ্গির ওপর বাংলাদেশ সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের প্রতি একটি আপসমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে বলে প্রতিবেদন পাওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা বলেন।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডাররা রাখাইনে পরপর তৃতীয় দিনের মতো মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের আবাসস্থল পরিদর্শন করেছে মর্মে সীমান্তের ওপার থেকে প্রাপ্ত সংবাদ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ইতিবাচক।’

তিনি বলেন, ঢাকা যথাসময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে নতুন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর মধ্যে চীন একটি ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হতে হাত বাড়িয়েছিল। মিয়ানমারের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের কারণে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ত্রিপক্ষীয় কার্যনির্বাহী গ্রুপের সভাটি স্থগিত হয়ে যায়। ঢাকা নেপিডোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। তবে তারা ১৯ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সচিব পর্যায়ের সর্বশেষ ত্রিপক্ষীয় আলোচনার সময় তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল।

মিয়ানমারের নতুন সামরিক প্রশাসন দেশটির সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলকে সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে এটির ন্যায্যতা প্রমাণের প্রয়াসে বাংলাদেশ দূতাবাসসহ নাইপিদোতে সব বিদেশি মিশনে চিঠি দিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নতুন সামরিক শাসন আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ছে। এমন একটি পরিস্থিতি বিশেষত পশ্চিমা বিশ্বের চাপ কমাতে তাদের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

ড. মোমেন বলেন, এই ধরনের প্রচার কার্যক্রমকে রাখাইন রাজ্যে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সামরিক জান্তার সদিচ্ছা হিসেবে দেখা যেতে পারে।

তিনি বলেন, এই ধরনের ভাবভঙ্গি রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নমনীয় মনোভাবের পরিচায়ক কি না, তা বলার সময় এখনো আসেনি। কিন্তু এটি পরবর্তী সময়ে আপস-মীমাংসার জন্য তাদের মধ্যে আস্থা তৈরির জন্য করা হয়ে থাকতে পারে।

 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন