দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে মন্ত্রী-এমপিদেরও ছাড় নয় : হাইকোর্ট | Daily Chandni Bazar দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে মন্ত্রী-এমপিদেরও ছাড় নয় : হাইকোর্ট | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১১:১৩
দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে মন্ত্রী-এমপিদেরও ছাড় নয় : হাইকোর্ট
অনলাইন ডেস্ক

দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে মন্ত্রী-এমপিদেরও ছাড় নয় : হাইকোর্ট

দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, মন্ত্রী, এমপি বা যে কেউ হোন না কেন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বগুড়া-২ আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর আগাম জামিন শুনানিতে সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ।

আগাম জামিন শুনানির সময় এমপি জিন্নাহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ সোমবার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আদালতের শুনানিতে এমপি জিন্নাহর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম ও মুন্সী মনিরুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।

এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর বিরুদ্ধে গত ২ ফেব্রুয়ারি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে তার বিরুদ্ধে এক কোটি ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ১১৩ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ এবং ৮৯ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের ‘তথ্য গোপনের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি।

শুনানিতে এমপির আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, জামিন আবেদনকারী একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার বয়স ৭৩ বছর। সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করতেই দুদক তার বিরুদ্ধে এই মামলা করেছে।

তখন হাইকোর্ট বলেন, ‘মামলা হলেই একজন এমপির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে এ ধরনের বক্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য। আপনার হাইকোর্টে না এসে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে সেটা জনগণের কাছে দৃষ্টান্ত হতে পারত। সামাজিক মর্যাদা বাড়ত।’

জামিনের বিরোধিতা করে দুদকের প্রধান আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায় আছে, কারা আগাম জামিন পেতে পারেন। সেই নীতিমালা অনুযায়ী তাকে আগাম জামিন দেয়া ঠিক হবে না। নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশনা দিতে পারেন হাইকোর্ট। কারণ উনি যে সম্পদ অর্জন করেছে সেইসব সম্পদের উৎস অজ্ঞাত। যার কারণে দুদক এ মামলা করেছে।’

এমপির আরেক আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দুদকে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করা হয়েছে তার বাইরে ওনার অবৈধ কোনো সম্পদ নেই। কিন্তু সেই সম্পদ বিবরণী পাশ কাটিয়ে দুদক অসৎ উদ্দেশ্যে এই মামলা করেছে।’

শুনানি শেষে হাইকোর্ট তিন সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে এই সময়ের মধ্যে এমপি জিন্নাহকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

  দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন