‘পরিবেশ সংরক্ষণ করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে’ | Daily Chandni Bazar ‘পরিবেশ সংরক্ষণ করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে’ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১১:৪৮
‘পরিবেশ সংরক্ষণ করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে’
অনলাইন ডেস্ক

‘পরিবেশ সংরক্ষণ করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে’

পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

ইকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদনে মাটি ও পানি হলো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এ দুটির গুণাগুণ ধরে না রাখতে পারলে এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশ ভাল না রাখতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংস হবে। কাজেই প্রকৃতি ও প্রতিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ করতে হবে। কোনোভাবেই যাতে প্রকৃতি ও প্রতিবেশ নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত সচেতন ও সচেষ্ট রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান বিশাল জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে ক্রমহ্রাসমান স্বল্প জমি থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। সেজন্য ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সার-কীটনাশকসহ কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যতই বলি প্রাকৃতিক পরিবেশে অর্গানিকভাবে কৃষি উৎপাদন করব; কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের মতো জনবহুল দেশে কেমিক্যাল ব্যবহার এড়ানো যাবে না। কারণ, স্বল্প জমি থেকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে না পারলে, শুধু প্রাকৃতিকভাবে অর্গানিক পদ্ধতিতে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। তবে কেমিক্যাল বা ইনঅর্গানিক উপাদানের ব্যবহার কিভাবে কমিয়ে আনা যায় ও পরিবেশ রক্ষা করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ। ইকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক এম আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া, সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

  দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন