![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
বগুড়া গাবতলীর ঐতিহ্যবাহী বউমেলা এবার নারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিলো। সকল বয়সী নারীদের ছিলো উপচেপড়া ভিড়। এ মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা সবাই নারী। তাই বেশ স্বাচ্ছন্দেই কেনাকাটা করতে পারে নারী ক্রেতারা। বগুড়ার শেরপুর থেকে বউমেলায় আসা আশা নামের জনৈক এক গৃহবধূ জানান, মেয়েদেরকে নিয়ে বউমেলায় এসেছিলেন মূলত আনন্দ উপভোগ করার জন্য। কিন্তু মেলায় এসে তার মেয়েদের জন্য চুড়ি ও অন্যান্য খেলনা কিনেছেন। বগুড়া উত্তর চেলোপাড়া হতে মেয়েদের জন্য হরেক রকমের কসমেটিকস্ জাতীয় মালামাল বিক্রি করতে আসা রোজিনা, কাকুলী ও সোনাভান জানান, তারা গতবছরের মতো এবারেও বউমেলায় ছোট ছোট সোনামনিদের জন্য বিক্রি করতে এসেছেন বিভিন্ন রকমের খেলনা। তারা বিক্রিও করেছেন অনেক মালামাল। দুপচাঁচিয়ার বাঁশি বিক্রেতা শহীদুল ও বগুড়া উত্তর চেলোপাড়ার খেলনা বিক্রেতা সুমন জানান, নারীদের উপস্থিতি বেশি থাকায় বিক্রি ভালোই হয়েছে। লাভও হয়েছে বেশ ভালো। মাটির জিনিস বিক্রেতা স্থানীয় মহিষাবান পালপাড়ার অতুল চন্দ্র পাল জানান, বাড়ীর কাছাকাছি মেলা হওয়ায় তিনি বেশ খুশি। বিকেলের মধ্যেই তিনি দুই হাজার টাকার মাটির জিনিস বিক্রিও করেছেন। বগুড়া উত্তর চেলোপাড়া বটতলার ফুসকা বিক্রেতা আকবর জানান, ব্যতিক্রমধর্মী এই বউমেলায় এবারেই তিনি প্রথম এসেছেন। বিক্রিও হচ্ছে ভালোই। স্থানীয় মহিষাবান পাড়ানীপাড়া হতে নাগরদোলা ও চরকি নিয়ে আসা মাসুদ রানা ও ওয়াজেদ হোসেন ফুলকি ছড়ানো হাসিমাখা মুখে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ছোট্ট সোনামনিরা নাগরদোলা ও চরকি খুউব পছন্দ করে। এই অবুঝ শিশুদের আনন্দ দিতে পেরে তারা বেশ খুশি। বউমেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি বলেন, স্থানীয় যুবকদের সহায়তার কারণেই প্রতিবছর মেলাটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। গাবতলীর ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা সম্পন্ন হওয়ার ঠিক পরের দিন এই বউমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিগত ২৮বছর আগে থেকে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গাবতলীর ত্রি-মোহিনী পশ্চিম মহিষাবান গ্রামে দিনব্যাপী বউমেলা চলাকালে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমাজসেবক জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত এবং উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আঃ সালাম ভুলন। আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সদস্য আলমগীর হোসেন স্বপন, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নাছিরুজ্জামান টিটো, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিকুঞ্জ কুমার পাল এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফারুক আহম্মেদ ফারুক। ফারহা রহমান স্মৃতির পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিলটন হোসাইন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন