![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পরকীয়া দেখে ফেলায় ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয় রাজু মিয়া (২০) নামের এক তরুণকে। গত ৭ মার্চ এ ঘটনা ঘটে।
ওইদিন রাতেই তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজু। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে হত্যাকারী শুভ মিয়ার (২২) নাম ও হত্যার কারণ বলে যান।
এ ঘটনার পর শুভকে পুলিশে ধরিয়ে দিলেন তার মা শাহনাজ বেগম। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার লৌয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শুভ মিয়া উপজেলার পৌরশহরের দেবগ্রাম গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি বিবাহিত।
অপরদিকে নিহত রাজু উপজেলার দেবগ্রামের দুলাল মোল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া আলমগীর মিয়ার ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলগঞ্জ উপজেলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাশের বাড়ির কিশোরীর সঙ্গে শুভর পরকীয়া চলছিল। তাদের ওই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ঘটনা দেখে ফেলায় রাজু এবং শুভর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাজুকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন শুভ। ওই ঘটনার জের ধরেই ৭ মার্চ রাতে ডেকে নিয়ে রাজুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন শুভ। পরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান।
শুভর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আখাউড়া থানা পুলিশকে জানিয়েছেন দেন তার মা শাহনাজ বেগম। পরে শাহনাজ বেগমের তথ্যের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার লৌয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমদ নিজামী বলেন, হত্যার বিষয়ে শুভ স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন