![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
দুই মাসের গর্ভবতী ছিলেন সোহেদা (৩৫)। স্বল্প শিক্ষিত হওয়ায় গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি নিজেও আঁচ করতে পারেননি। শরীর খারাপ লাগায় শরণাপন্ন হন গ্রাম্য এক নারী চিকিৎসকের।
সেই নারী চিকিৎসকের দেয়া গর্ভপাতের ওষুধ কাউকে কিছু না জানিয়ে খেয়েছিলেন সোহেদা। এরপর থেকে পেটে প্রবল ব্যথা শুরু হয় তার। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাত ৯টায় দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোহেদা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি গ্রামের আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী ও ৬ সন্তানের জননী।
হাসপাতালে স্বামী আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সোমবার পাশের বাড়ির এক নারীর কাছে থেকে ট্যাবলেট এনে খায় তার স্ত্রী সোহেদা। রাত থেকে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। মঙ্গলবার বিকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সোহেদা মারা গেছেন বলেন চিকিৎসক জানান।
এ বিষয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান ফয়েজ জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছে। এসব গর্ভপাতের ওষুধের জন্য এখন আর গাইনী ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন মনে করেন না রোগীরা। যার কারণে তারা সহজেই ফার্মেসির দোকানদারের কাছে গর্ভপাতের ওষুধ চাইলেই এটা দিয়ে দিচ্ছেন। ফলে গর্ভপাত করতে গিয়ে অকালে ঝরে যাচ্ছে অনেক প্রসূতি মায়ের জীবন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল আলম জানান, ওষুধ খেয়ে কেউ মারা গেছেন বলে জানা নেয়। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন